Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

সনদ জালিয়াতি করে তিনি প্রধান শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৬ এএম

শিবচর উপজেলা সদরে খ্যাতনামা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম নিজ নামের সাথে মিল থাকার সুযোগ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভ‚ইঘর পশ্চিমপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন সাউদের ছেলে রফিকুল ইসলামের এমএ সনদ জালিাতির মাধ্যমে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় ফতুল্লা থানায় জিডি হয়েছে। স্কুলের অফিস সহকারী জহিরুল ইসলাম জেলা প্রশাসক, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বরাবরে লিখিত অভিযোগের পর জেলা প্রশাসনসহ একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিভিন্ন তদন্তের পর অভিযুক্ত শিক্ষকের এমএড বিএড পরীক্ষার মুল সনদপত্র সংগ্রহ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানোর পর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সনদ ইস্যুকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ শিবচরের রফিকুল ইসলামের এমএ ইংরেজি সনদ সঠিক নয় বলে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে চিঠিতে জানান। তারপরও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দীর্ঘসুত্রিতার হচ্ছে। সচেতন মহলের অভিমত, বির্তকিত সনদ নিয়ে প্রধান শিক্ষক কিভাবে চাকরিতে বহাল রয়েছেন!
সূত মতে, অভিযোগে জানা যায়, স্কুলটি বেসরকারি থাকাকালে ২০১৪ সালে ২৬ নভেম্বর বিএ-বিএড যোগ্যতা দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ করা হলে প্রধান শিক্ষকের এমএ সনদ প্রর্দশনের আবশ্যকতা দেখ দিলে সনদ জালিয়াতির এ ঘটনা ফাঁস হয়। এদিকে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের বিএড এবং এমএড সনদও জাল বলে দাবি করেন। কেননা প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মুন্সিগঞ্জের কাজিরপাগলা এটি ইনস্টিটিউটে সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা কালে বিএড পরীক্ষায় পাশ করেন কিন্তু নিয়মিত স্কুলে হাজিরা থেকে কিভাবে বিএড করলেন এ বিষয় অভিযোগ ওঠার কারনে বিগত ২০০৮ সালের ২৭ আগস্ট শিক্ষা ম›ন্ত্রনালয় হতে একটি অডিট টিম ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার কারণে তার বেতন বন্ধ রাখেন। ওই স্কুল থেকে সরে এসে তথ্য গোপন করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের যোগদান করেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে বিএ পাশ করার ২০ বছর পর ২০১৪-তে কীভাবে নিয়মিতভাবে এমএ পাস করেন। মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি এমএ পরীক্ষার সনদপত্র ফটোকপি পাওয়া যায়।
প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে এমএ পরীক্ষার সনদ জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে কাগজপত্র সঠিক আছে বলে দাবি করে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান গতকাল শনিবার জানান, এ বিষয়ে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের নিকট প্রধান শিক্ষকের এমএ সনদের বিষয়য়ে যাচাই-বাচাইয়ের জন্য পাঠানোর পর তারা সনদ সঠিক নয় বলে জানায়। তবে ম্যানেজিং কমিটি নয়, এ ব্যাপারে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরই প্রধান শিক্ষকের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ