Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ফয়জুল্লাহ গ্রেফতার

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৬ এএম

গফরগাঁও’র পাগলা থানা পুলিশ যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ে আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এএফএম ফয়জুল্লাহ (৭০) ওরফে আবুল ফালাহ ওরফে ফাইজুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পাগলা থানার ওসি রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢাকার শাহবাগ থেকে ফাইজুল্লাহকে গ্রেফতার করে। ২০১৪ সালে ফাইজুল্লাহ’র বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফাইজুল্লাহসহ গফরগাঁও উপজেলার ৮ জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়। ফাইজুল্লাহসহ তিনজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও অপর পাঁচজনকে ২০ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়। ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইবুনালের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। ফাইজুল্লাহ গফরগাঁও উপজেলার সাধুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ খানের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফাইজুল্লাহর বাবা মজিদ খান ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান নেজামে ইসলামি পার্টির কর্মী হিসেবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফাইজুল্লাহ বাবার আর্দশ অনুসরণ করে নেজামে ইসলামীর কর্মী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভ‚মিকায় লিপ্ত হন। তিনি সশস্ত্র সহযোগি আব্দুর রাজ্জাক, সামসুজ্জামান (কালাম), আব্দুল খালেক, বাদশা, খলিলুর রহমান মীরগংদের নেতৃত্ব দিয়ে গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারি, টাংগাব, দত্তেরবাজার ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে এসব ঘটনায় ফাইজুল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে গফরগাঁও থানায় ৮টি মামলা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ২৫ অক্টোবর তারিখে ফাইজুল্লাহকে এসব মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০১৪ সালে সাধুয়া গ্রামের মরহুম আফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে তার নামে মানবতাবিরোধী মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারের পর ফাইজুল্লাহ বলেন, আমি যুদ্ধাপরাধ মামলার খোঁজ-খবর নিতে এসেছিলাম। পরে আমাকে আটক করা হয়। আমি আমার অপরাধের জন্য অনুতপ্ত। পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। যুদ্ধাপরাধ মামলায় আমৃত্যু পলাতক আসামি ফাইজুল্লাহকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ