রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
খাগড়াছড়ি জেলায় দীঘিনালা উপজেলায় সাধনা টিলা বন বিহারের পাহাড়ের ঢালে এ মৌসুমে পরীক্ষামূলক তরমুজ চাষ করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এ চাষ সফল হয়েছে। তরমুজের ব্যাপক উৎপাদন ও আকার ভালো হওয়ায় খুশি বৌদ্ধ যুব ঐক্য সমবায় সমিতির সদস্যরা। তবে তরমুজ ক্ষেত পরিচর্যাকারীরা জানান, বন বিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধ বংশ স্থবীর’র নির্দেশক্রমেই এ পাহাড়ে তরমুজ চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বনবিহারের একটি পাহাড়ের ঢালুতে বড় বড় তরমুজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফলে আছে। প্রায় অধিকাংশ তরমুজের আকার বড় এবং বিক্রির উপযোগি। এ সময় তরমুজ ক্ষেতে কাজ করার সময় কথা হয় সাধনা টিলা এলাকার বাসিন্দা এবং সাধনা টিলা বন বিহার পরিচালিত বৌদ্ধ যুব ঐক্য সমবায় সমিতির সদস্য লক্ষীধন চাকমা (৪৫), রপায়ন চাকমা (৫০) এবং আবু বালা চাকমার সাথে।
এ সময় লক্ষীধন চাকমা জানান, গত ২৫ নভেম্বর বাজার থেকে ক্রয় করা বীজ নিয়ে প্রায় চারশত বীজতলায় রোপন করা হয়। নিয়মিত পরিচর্যা ও সকাল বিকাল পানি দেয়ার পর জানুয়ারি মাসের ২য় সপ্তাহ থেকেই ফুল আসা শুর হয়। এখন প্রায় ৬শত বড় আকারেরসহ প্রায় ১ হাজার তরমুজ রয়েছে ক্ষেতের মধ্যে। বন বিহার পরিদর্শনে আসা বিভিন্ন পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা প্রতিটি তরমুজ আকার ভেদে ৩/৪শ’ টাকা হারে ক্ষেত থেকেই কিনে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত প্রায় পনের হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। তারা আরও জানান, এ পর্যন্ত আমাদের ত্রিশ হাজার টাকারমতো খরচ হয়েছে। তবে উৎপাদিত সব তরমুজ বিক্রি করে প্রায় ৭০/৮০ হাজার টাকার মতো আসবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকার সেকান্দর আলী এবং বাবলু মিঞা জানান, আমরা সব সময় দেখে আসছি তরমুজ নদীর চরে জন্মে। এবারই প্রথম স্বচক্ষে দেখলাম তরমুজ পাহাড়ের ঢালে জন্মে। তবে এত ভালো তরমুজ হয় দেখে প্রথমে নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সমপ্রসারনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতুল বিহারী চাকমা জানান, পাহাড়ের ঢালে তরমুজ চাষ এবারই আমার প্রথম দেখা। তবে চাষ করার সময় কৃষি বিভাগ থেকে চাষ প্রণালী সম্পর্কে সমিতির সদস্যদের ধারণা দেয়া হয়েছে। এর আগে পাহাড়ের ঢালে তরমুজ চাষ করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
সাধনা টিলা বন বিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধ বংশ স্থবীর জানান, রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার কাট্টলীতে থাকাকালীন ১৯৯৫ সনে পড়াশুনা করার সময় পাহাড়ের ঢালে তরমুজ চাষ করেছিলাম। তখন ভালো ফলন হয়নি। তাই ওই অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার আবার পাহাড়ে তরমুজ চাষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এখানে বৌদ্ধ যুব ঐক্য সমবায় সমিতির সদস্যদের পাহাড়ের ঢালে তরমুজ চাষ করার ধারণা দেই। ফলন ভালো হওয়ায় সবাই খুশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।