পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার টিকা প্রদানে কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় এড়াতে এবং সুষ্ঠুভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বৃহস্পতিবার থেকে অনস্পট নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে আবারো প্রয়োজন হলে স্ব-শরীরে এসে নিবন্ধন করে টিকা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হবে। গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।
গতকাল সারা দেশে গণ টিকাদান কর্মসূচির ৫ম দিনে টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৫৪০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৫৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন। প্রথম দিন টিকা নিয়েছিলেন ৩১,১৬০ জন। দ্বিতীয় দিন নেন ৪৬ হাজার ৫০৯ জন। তৃতীয় দিন টিকা নেন ১ লাখ ১ হাজার ৮২ জন। চতুর্থ দিন এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫১ জন। গত ২৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গণ টিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনলাইন নিবন্ধনের চেয়ে অনস্পট নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদিকে যারা অনলাইনে নিবন্ধন করে টিকা নিতে আসছে, তারা নানা রকম ভোগান্তিতে পড়ছে। অনস্পট নিবন্ধনের কারণে তাদেরকে এসে বসে থাকতে হচ্ছে। বয়স্করাও এসে কষ্ট পাচ্ছে। তাই আজ থেকে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে না।
সমালোচনাকারীরা আগেই টিকা নিয়ে নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দিনে দিনে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বেড়েছে। টিকা নিয়ে নানা কথাবার্তা হয়েছিল, সবকিছুকে তোয়াক্কা না করে টিকা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে, যারা সমালোচনা করেছিল, তারাও আগে আগে টিকা নিয়ে নিচ্ছে।
নিবন্ধন বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টিকা পেতে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে ১০ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৭ জন। নিবন্ধনকারীদের মধ্যে চার লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৯ নারী এবং ৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৭৮ জন পুরুষ। এর মধ্যে প্রথম সারির যোদ্ধা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৪ জন এবং সাধারণ মানুষ ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬২১ জন।
প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার জন ৯ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জনকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে গত চার দিনে ৩ লাখের অধিক টিকাদান সম্পূর্ণ হয়েছে। এই কাজ যদি অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে করানো হতো তাহলে শতাধিক কোটি টাকা খরচ হতো। এটা আমরা দুই মন্ত্রণালয় মিলে করছি, বলেন তিনি। মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমেছে। করোনায় এখন যে পরিমাণ মানুষ মারা যাচ্ছে, তারচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষ প্রতিদিন সাপের কামড়ে, ক্যান্সারে, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। কিন্তু ওগুলোর খোঁজ-খবর আমরা রাখি না। খবর রাখি শুধু করোনার।
স্বাস্থ্য সেবাকে আরো ডিজিটালাইজড করা হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে আরো গতিশীল করতে চাই। আমরা স্বাস্থ্যসেবা আরো বাড়াতে চাই। এ জন্য আমাদেরকে ডিজিটালাইজড হতে হবে। এ লক্ষ্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সাথে আমরা বৈঠক করেছি। শিগগিরই এ সংক্রান্ত আমাদের প্রস্তাবনা একনেকে উপস্থাপন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।