পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনগণ ফুঁসে উঠছে, তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসকের মতো বর্তমান সরকারের পতন ঘটবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ আপনারা(সরকার) তারেক রহমানসহ নেতা-কর্মীদের সাজা দিচ্ছেন। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের খেতাব ছিনতাই করতে চাচ্ছেন। এসব করে কোনো লাভ হবে না।।’’
‘‘ দেশের জনগন ফুঁসে উঠছে, ফুঁসে উ্ঠেছে। ইনশাল্লাহ এই জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে, এই জনগনের আন্দোলনে একদিন সকল স্বৈরাচারী শাসকের সরকারের মতো এই সরকারেরও পতন হবে।”
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার পদক আপনারা ছিনতাই করবেন। ছিনতাই করা আপনাদের অভ্যাস হতে পারেন। আমাদের কথা হলো- এটা একটা সুদূরপ্রসারি চক্রান্তের অংশ মাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার পদক আপনারা ছিনতাই করতে চাচ্ছেন।”
‘‘ আমি বলতে চাই, এই পদক এই সরকার দেয় নাই, এই পদক স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের জনগন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বশে তাকে এই পদক দিয়েছিলো।”
তিনি বলেন, ‘‘ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপানারা মামলা দিলেন, আবার দুইবছর সাজাও দিলেন। আরে ২ বছর দেন আর ২‘শ বছর দেন -কোনো লাভ হবে না।”
‘‘ তারেক রহমান যখন দেশে ফিরে আসবেন সবার মাঝে, আপনাদের হাজার বছরের সাজা মানুষজন কেউ পাত্তা দেবে না।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘ এই সরকারের বিরুদ্ধে এতো কথা বলে লাভ নেই্ একদফা এক দাবি শেখ হাসিনা তুই এখন যাবি। আর কোনো দাবি নাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।”
‘‘ আল-জাজিরা দেখে মাখা খারাপ হওয়ার কি আছে? এই তো লক্ষ কোটি বাংলাদেশের একটা ছোট-খাটো্ জিনিস দেখিয়েছে। আজকে ঘরে ঘরে ডন, ঘরে ঘরে মাফিয়া, ঘরে ঘরে দখলদার, ঘরে ঘরে খুনী, ঘরে ঘরে নারী ধর্ষনকারী। তাদের নিয়ে শেখ হাসিনার বসত। এই বসত বেশিদিন টিকে থাকবে না। আমি বলব, কাঁচে ঘরে যতই স্বচ্ছ হাসিনা, কাঁচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল মারা অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন, গণতন্ত্র বন্ধ করলে, গণতন্ত্র রুদ্ধ্র করলে কী পরিণতি হয় তার ইতিহাস আছে। এজন্য এতো লম্ফ-জম্ফ করে লাভ হবে না।”
দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘‘ জেনারেল জিয়াউর রহমান খেতাব অর্জন করেছেন, এই অর্জিত খেতাব নিয়ে যাওয়া যায় না। তিনি পল্টন ময়দানের বক্তৃতা মাধ্যমে কোনো খেতাব পাননি। তিনি খেতাব পেয়েছেন বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ এবং সংগ্রাম করে, বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। অতত্রব এসব কথা বলে কোনো লাভ নেই।”
‘‘ একজন আজকে বলেছেন, খেতাব নিয়ে যাওয়াকেত আইনগত কোনো বাঁধা নেই। আরে যে দেশে শে আইন নেই, সেই দেশে আইনগত বাঁধা কি থাকবে। এদেশে যারা আইন প্রণয়ন করে তারা অবৈধম, তারা হলেন অনির্বাচিত। তারা সংসদে বসে যে আইন প্রনয়ন করে তা বৈধ আইন নয়।”
দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘‘এই প্রধানমন্ত্রী ভোট চোর, এই প্রধানমন্ত্রী নিশিরাতের ভোটের প্রধানমন্ত্রী। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের খেতাব যদি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্ব জনগন কেড়ে নেবে, শেখ হাসিনা আর প্রধানমন্ত্রী থাকবে না।”
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘‘ করোনা ভাইরাসে বিশ্ববাসী আতঙ্কগ্রস্থ আর শেখ বর্তমানে আতঙ্কগ্রস্থ আল-জাজিরা ভাইরাসে। এই আল জাজিরা ভাইরাসকে কাউন্টার করার জন্য নতুন নাটক জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেয়া।”
‘‘ আপনার নেতারা বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি পাকিস্তার চর রাজাকার। তাহলে যে ব্যক্তিটি জিয়াউর রহমানকে বীরোত্তম খেতাব দিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রীর পিতা তিনি কত বড় রাজাকার। উনি তো বীরোত্তম খেতাব দি্য়েছেন জিয়াউর রহমানকে। আপনারা মুছে দেবেন জিয়াউর রহমান না, আপনারা পারবেন না। গ্রামের কুঠিরে কুঠিরে জিয়াউর রহমানের নাম, পদ্মা মেঘনার উত্তাল স্রোতে জিয়াউর রহমানের নাম, কোকিলের কন্ঠে জিয়াউর রহমানের নাম, এই নাম মানুষের হৃদয় থেকে মানুষের অন্তর থেকে এই মাফিয়া সরকার মু্ছে ফেলতে পারবে না।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিন ও উত্তরের যৌথ উদ্যোগে নড়াইল আদালতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাতক্ষীরার আদালতে দলের প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ১০ জন এবং পাবনার ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাজা প্রদান এবং দলের বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। একই দিন এই কর্মসূচি হচ্ছে সারাদেশে মহানগর ও জেলায়।
মহানগর দক্ষিনের সভাপতি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিনের কাজী আবুল বাশার ও উত্তরের এজিএম শামসুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপি অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, রাজীব আহসান, মহানগর বিএনপির মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, ইউনুস মৃধা, হাবিবুর রশীদ হাবিব, যুব দলের সুলতান সালাহ্উদ্দিন টুকু, এসএম জাহানঙ্গীর, রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ফখরুল ইসলাম রবিন, নজরুল ইসলাম, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মীর সরাফত আলী সপু, আমিনুল হক, শামীমুর রহমান শামীম, ইশরাক হোসেন, রফিক শিকদার, সাইফুল ইসলাম নিরব, মোরতাজুল করীম বাদরু, হেলেন জেরিন খান, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, তানভীর আহমেদ রবিন, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, জাকির হোসেন রোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।