বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ক্ষমতাসীন আ’লীগের উপদলীয় কোন্দলের জের ধরে আবার রক্তাত্ব হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গন। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবু হানিফ খানকে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম এবং যুবলীগ অফিস ভাংচুরের ঘটনার পর দুই গ্রুপ এখন মারমুখী। উভয় পক্ষের মারমুখী অবস্থানের কারনে সকল ধরণের সহিংসতা এড়াতে পৌরশহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
উভয় পক্ষ পরষ্পরকে দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। এঘটনায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে আসামী কওে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৬৭ নেতা কর্মির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বেচ্ছা সেবকলীগ। স্থানীয় আ‘লীগ কার্যালয় লিখিত বক্তব্যে উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ আহবায়ক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, সম্প্রতি ইদ্রিস মিয়া নামে এক মাদ্রাসা নৈশ প্রহরী ব্যক্তিগত কোন্দলের জেরে হামলার শিকার হয়। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয়া স্বত্তে¡ও উপজেলা আ‘লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে মিছিল ও সভা করে। সভা শেষে পৌর মেয়য়ের বাস ভবনে হামলার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের কর্মিদের সাথে বাক-বিতান্ডা এক পর্যায় যুবলীগ সভাপতি আবু হানিফ খান বাসার গেটে ধাক্কা খেয়ে পরে যায়। আলাউদ্দিন আল আজাদ যুবলীগ সভাপতিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জুলহাস শাহিন, স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা শফিক ফরাজি, যুবলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম সহ যুবলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মি।
এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল সোহেল লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও পৌরমেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের নির্দেশে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবু হানিফ খানের হামলা চালানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়।
উল্লেখ্য, মঠবাড়িয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আ‘লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল রয়েছে। উপজেলা আ‘লীগ সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান সমর্থিত গ্রæপ এবং উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর সমর্থিত গ্রæপের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। এ ঘটনার জেরে উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে মঠবাড়িয়া পৌর শহরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।