বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পূর্বে কোনো প্রচার-প্রচারণা নেই। টানানো হয়নি ভোটার তালিকা, ছিল না কোনো প্রার্থী, বিক্রি হয়নি মনোনয়নপত্র। তাছাড়া এখনো রয়েছে পূর্বের কমিটির মেয়াদ। তবু ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করে ফলাফল সীটে সিলসহ স্বাক্ষর করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। এমনিই ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৭৪ বছরের পুরানো রাউলেরচর দাখিল মাদরাসায়। একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণের ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাউলের চর, নিজগাঁও, বড়ইগ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক, জমিদাতার পরিবারের সদস্য ও সচেতন মানুষ বুধবার দুপুরে এমন অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ছাইদুল ইসলামের নানা দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন ও অনির্বাচিতদের নির্বাচিত দেখিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ করা হয়।
জানা যায়, মাদ্রাসায় আদৌ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে কিনা তা যাচাই না করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা এ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার আবু হানিফা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কিভাবে ফলাফল বিবরণী স্বাক্ষর করে সত্যায়ন করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মাদরাসা জমিদাদতা পরিবারের সদস্য মো.রফিকুল ইসলাম শিপু বলেন, ১৯৪৭ সালে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সময় তাঁর দাদি জয়তুন্নেছা ৭৫ শতাংশ জমি দান করে গেছেন। কিন্তু মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ছাইদুল ইসলাম জয়তুন্নেছার পরিবারের কাউকে দাতা সদস্য না করে নিজের বড়ভাই আউয়ালকে দাতা সদস্য করেন।
মাদ্রসার অফিস সহকারী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, যাবতীয় করণিক কাজ তিনি করেন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে মাদ্রাসা থেকে কোনো মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়নি। নির্বাচনি কোনো প্রচারণা চালানো হয়নি। ভোটার তালিকাও টাঙানো হয়নি। নির্বাচন সংক্রান্ত কগাজপত্র তাঁর কাছে নেই।
এব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার ছাইদুল ইসলামের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
নির্বাচন না করেও ফলাফল বিবরণীতে কীভাবে স্বাক্ষর করলেন জানতে চাইলে উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার আবু হানিফা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ভাইরে বিশ্বাসেই সব করেছি। মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ছাইদুল ইসলাম আমাকে কাগজপত্র এনে দিয়েছেন। তাঁকে বিশ্বাস করে আমি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছি। আপনি তো প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন, মাদ্রাসা সুপারের দেওয়া কাগজে আপনার স্বাক্ষর করতে হলো কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যা করেছি তো করেছিই। এখন বোর্ড গ্রহণ করে কিনা অপেক্ষায় আছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।