পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান আটক করেছে পুলিশ। একটি ফিশিং বোটের ভেতর থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। ৭টি বস্তা থেকে ১৪ লাখ ইয়াবা পেয়ে অবাক হয়ে যান গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। পুলিশ আটক করেন ২ কারবারীকে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে শহরের কাছাকাছি চৌফলদন্ডী ব্রিজ সংলগ্ন খাল থেকে একটি ফিশিং বোটসহ পুলিশ আটক করে এই চালানটি। খালাসের জন্য এই চালানটি কক্সবাজার শহরের ৬নং ঘাটে আসছিলো বলে জানা গেছে। ৬নং ঘাট হয়ে কক্সবাজার শহরে এবং ঢাকা-চট্টগ্রামের কারবারীদের হাতে এই চালানটি ছড়িয়ে যেতো বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে চালানের সাথে আটক দুই পাচারকারী।
চালানের সাথে আটক পাচারকারীরা হলেন কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার নজরুল ইসলামের পুত্র চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী জহিরুল ইসলাম ফারুক ও একই এলাকার মোজাফফর আহমদের পুত্র মো. বাবুল। জহিরুল ইসলাম ফারুক কক্সবাজার পৌর যুবদলের সদস্য বলে জানা গেছে। গ্রেফতারের পর তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, চালানটি মিয়ানমার থেকে এসে প্রথমে ইনানীতে নোঙর করে। ভারুয়াখালী ঘাটে অবস্থান নেয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শেখ মােহাম্মদ আলী জানান, একটি বৃহৎ ইয়াবা চালান কক্সবাজারের দিকে আসছে এমন খবর পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এই খবরের সূত্র ধরে জেলের ছদ্মবেশে কয়েকজন ডিবি পুলিশ সদস্য এই চালানের পিছু নেয়। নিশ্চিত হয়ে পুলিশের একটি বড় দলসহ অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার নজরুল ইসলামের পুত্র ইয়াবা কারবারী জহিরুল ইসলাম ফারুক চিহ্নিত ইয়াবা মাফিয়া। তিনি কয়েকজনের নেতৃত্বে তাদের একটি বড় চক্র রয়েছে। চক্রটি দীর্ঘদিন নানা ছদ্মবেশে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসে। কক্সবাজার শহরসহ সারাদেশে পাচার করতো। তাদের রয়েছে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে নামী দামী হোটেলে কয়েকটি ফ্লাট। ওই ফ্লাট থেকে ইয়াবা পাচার করা হত দেশের বিভিন্ন জায়গায়। জহিরুল ইসলাম ফারুকদের ইয়াবা চক্রের খপ্পরে পড়ে নুনিয়ারছড়ার বহুজন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। এইসাথে এলাকায় ইয়াবা সেবনকারীও বেড়ে গেছে।
পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের কয়েকটি দলের সমন্বয়ে চালানো এই অভিযানে একটি বোট থেকে ইয়াবা ভর্তি সাতটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান আরো বলেন, এই চালানের সাথে জড়িত চক্রের দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের হাতে প্রায় সময় আটক হয়ে থাকে ইয়াবার ছোট খাট চালান। গতকাল এ যাবতকালের সবচাইতে বড় ইয়াবার চালানটি ধরা পড়ে পুলিশের হাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।