বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে লিটন ওরফে হাতুড়ি লিটনের নেতৃত্বে ফের দোকান ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। দোকান ভাংচুরে বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা ফেরদৌস ইসলাম (৪৭) ও শরিফুল ইসলাম তনয় (২২) নামে দুইজনের উপর হামলা চালায়।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিকের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় রাজিয়া সুলতানা মালিকানাধীন দোকান ভাংচুরের এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত মোঃ ফেরদৌস ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং তার ছেলে শেখ বোরহান উদ্দীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের ছাত্র শরিফুল ইসলাম তনয়।
হাতুড়ি লিটনকে ভাড়ায় আনা পাশের বাড়ির মালিক নুরুল আলম জানায়, আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির সাথে কথা বলেছি। ওসির হুকুম পাওয়ার পর আমরা উক্ত দোকনাগুলো ভাংচুর করতে আমার ভাড়াটিয়া সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে লিটনের সাথে কন্ট্রাক্ট করেছি।
এলাকাবাসী জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিকের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াআটি মুক্তিনগরস্থ টায়ার মার্কেটে সোমবার সকালে হঠাৎ করে ভাংচুর শুরু করে লিটন ওরফে হাতুড়ি লিটনের নের্তৃত্বে সাইফুল ইসলাম(৪০), মোঃ শরীফ (২৫)সহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি, সাবালসহ ভারী দেশীয় সারাঞ্জাম দিয়ে হামলা চালিয়ে মার্কেটের দেয়াল ভাংচুর করে। মার্কেটের মালিকের জামাতা ফেরদৌস ইসলাম মার্কেটের দোকান ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান ভাংচুর বন্ধ করতে বললে তার উপরে সাইফুল ইসলাম, মোঃ লিটন ওরফে হাতুড়ি লিটন, মোঃ শরীফ সহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মোঃ ফেরদৌস ইসলামের কাছে থাকা ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা সাইফুল ইসলাম ছিনিয়ে নেয় বলে জানান তিনি। একইসময় সন্ত্রাসীরা তার ছেলে শরীফুল ইসলাম তনয়ের উপরও হামলা চালায়।
এলাকাবাসী আরো জানায়, আহত ফেরদৌসকে উদ্ধার করে প্রথমে সুগন্ধা হাসপাতালে পরে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডের প্রো-একটিভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত তনয়কে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে এ ব্যপারে ৯৯৯ এ ফোন করা হলে দ্রুত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সরে গেলে সন্ত্রাসীরা আবারও ভাংচুর করতে থাকে। পরবর্তী এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়ছাল আলম ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা ফের পালিয়ে যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই ফয়ছাল আলম জানায়, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। তবে কয়েকটি দোকান ভাংচুর অবস্থায় আছে দেখেছি।এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মশিউর রহমান জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।দোকান ভাংচুরের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।