বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্সের জায়গায় নিজে তিনজনের শরীরে করোনার টিকা (ভ্যাকসিন) পুশ করলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খান। তার এই টিকা পুশের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্সের বদলে একজন জনপ্রতিনিধির টিকা দেয়ার ঘটনাকে ‘খুবই ভয়ানক’ বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, দক্ষ নার্স, চিকিৎসক বা চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কেউ এটা পুশ করতে পারেন না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) করতে পারেন না। করোনা টিকা পুশ করার জন্য নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারাই টিকা প্রদান করতে পারেন। অন্য কারও টিকা দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে করোনা টিকা দেয়া শুরু হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সিরিঞ্জ হাতে নিয়ে তিনজনের শরীরে টিকা পুশ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খান। নার্স ও চিকিৎসকরা তাকে সহায়তা করেন।
তিনজনকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের টিকা দেয়ার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে তাকে টিকা পুশ করতে দেখা যায়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যে তিনজনের শরীরে করোনার টিকা পুশ করেছেন তারা হলেন- কুমারখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মী মোখলেছুর রহমান ও স্থানীয় সাংবাদিক কে এম আর শাহীন।
এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকুল উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় তিনি ওই কক্ষের বাইরে ছিলেন। বিষয়টি তার জানা নেই।
বক্তব্য জানার জন্য আবদুল মান্নান খানের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টিকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছিলাম। অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম। পরে শুনেছি উপজেলা চেয়ারম্যান টিকা পুশ করেছেন। চেয়ারম্যান না দিয়ে নার্স দিলেই ভালো হতো।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সঠিকভাবে টিকা দেয়া না হলে মাংশপেশীর চারপাশে প্রদাহ দেখা দিতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।