Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হজের ফজিলত ও উপকারিতা

প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আব্দুল মান্নান সালাফী
পূর্বে প্রকাশিতের পর
এজন্য সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য কোন প্রকার অজুহাত ও ওযর বাদ দিয়ে ফরজ হজ সমাপনে দ্রুত করা উচিত। আর ছেলেমেয়ের বিবাহ, বাড়ি নির্মাণ, কারখানা ও ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য পার্থিব কাজের বাহানায় ঐ ফরজ আদায়ের ব্যাপারে বিলম্ব করা উচিত নয়। কেননা ভবিষ্যৎ অবস্থা ও পরিস্থিতি এবং মানুষের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস কবে বন্ধ হয়ে যাবে এটা কারো জানা নেই।
উল্লেখ্য, হজ সমাপনের ক্ষেত্রে সউদি সরকার ইসলামী বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এমন নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা রেখেছেন, যাতে তারা এই ফরজ কাজ অতি সহজে সুসম্পন্ন করতে পারে। ঐ নীতিমালার অধীনে প্রত্যেক দেশের মুসলিম অধিবাসীদের জন্য বার্ষিক কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক লোককে হজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ নীতিমালার আলোকে কেউ যদি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজের অনুমতি না পায়, তাহলে সে অক্ষম বা অসমর্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত তার হজের ফরযিয়াত স্থগিত থাকবে।
হজের ফজিলত
হজের ফজিলতের ব্যাপারে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যেমন-
(১) আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এক ওমরা পরবর্তী ওমরা পর্যন্ত গোনাহের (ছগীরাহ) কাফফারাহ এবং কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত কিছইু নয়’ (বুখারী হা/১৬৫০; মুসলিম হা/১৩৪৯; মিশকাত হা/২৫০৮)। অর্থাৎ হজের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। কবুল হজ দ্বারা উদ্দেশ্য এমন হজ, যা সুন্নাত মুতাবেক সম্পন্ন হয়, যাতে পাপাচার ও গোনাহ থেকে মুক্ত থাকা হয় (রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১২৮১-এর ব্যাখ্যা)। কবুল হজের আলামত সম্পর্কে বিদ্বানগণ বলেছেন যে, হজের পর লোকটি উত্তম আচার-ব্যবহারের দিকে ধাবিত হয়ে যায়। সে যদি খারাপ থাকে তাহলে সৎ কর্মশীল হয়ে যায়, সৎ কর্মশীল থাকলে আরো অধিকতর সৎকর্মশীল হয়ে যায় (ফাতহুল বারী ৩/৪৪৬, হা/১৫১৯-এর ব্যাখ্যা)। আর হজকারী যদি নিজের পূর্বের কাজের উপর বিদ্যমান থাকে তাহলে তা হজ কবুল না হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।
(২) আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করল এবং হজের সময় অনর্থক কথা ও পাপ কাজ করল না সে হজ থেকে প্রত্যাবর্তন করে সেদিনের ন্যায় (নিষ্পাপ অবস্থায়), যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল’ (বুখারী হা/১৫২১; মুসলিম হা/৩২৯১)।
(৩) আমর ইবনুল আছ (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে সম্বোধন করে বললেন, ‘হে আমর! তুমি কি জান যে, ইসলাম গ্রহণের দিন (পূর্বের) গোনাহসমূহ মিটিয়ে দেয়? আর হিজরত পূর্বের পাপ মোচন করে দেয়, হজ পূর্বের গোনাহ ধ্বসিয়ে করে দেয়’ (মুসলিম হা/৩২১)।
(৪) উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (সা.)! আমরা জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। তাহলে আমরা (মহিলারা) কি জিহাদ করব না? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, না, তোমাদের জন্য উত্তম জিহাদ হচ্ছে, মাবরূর (কবুল) হজ’ (বুখারী হা/১৫২০)। অপর একটি বর্ণনায় এসেছে,
(৫) আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (সা.)! মহিলাদের উপর কি জিহাদ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের উপর জিহাদ আছে। তবে তাতে যুদ্ধ নেই। সেটা হল হজ ও ওমরা’ (ইবনু মাজাহ হা/২৯০১; মিশকাত হা/২৫৩৪)।
(৬) আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হল কোন আমল সর্বোত্তম? রাসূল (সা.) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা। বলা হল, এরপর কি? তিনি বললেন, আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হল, তারপর কি? তিনি বললেন, মাবরূর হজ (কবুল হজ) (বুখারী হা/২২; মুসলিম হা/২৪৮; মিশকাত হা/২৫০৬)।
হজের উপকারিতা
হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে অন্যতম। এটা ইসলামের বড় ইবাদত হওয়া ছাড়াও এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। কুরআনুল কারীমে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আল্লাহ্র বাণী, ‘যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে’ (হজ ২২/২৮)।
এ আয়াতে বহুবচনের শব্দ ব্যবহার করে ধর্মীয়, দৈহিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক, দাওয়াতী, ইলমী (জ্ঞানগত) ও একতা-সংহতির উপকারিতাকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
১. দ্বীনি (ধর্মীয়) উপকারিতা
ক. মুখলিছ (একনিষ্ঠ) হাজি গোনাহ থেকে পাক-সাফ বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়, যা পূর্বোক্ত হাদিসে উল্লিখিত হয়েছে।
খ. মক্কায় অবস্থানের সময় মসজিদে হারামে সালাত আদায় করার সৌভাগ্য হয়। যেখানে সালাত আদায়ে অন্যান্য মসজিদের চেয়ে ১ লক্ষ গুণ ছওয়াব বেশি হয়।
গ. মক্কায় অবস্থানকালে কাবার তওয়াফ করতে থাকার সৌভাগ্য হয়। তওয়াফ এমন ইবাদত, যা ঐ জায়গা ব্যতীত অন্যত্র আদায় করা সম্ভব হয় না।
ঘ. অন্তরে গোনাহের যে মরিচা পড়ে, তা আল্লাহ্র ঘর দর্শন ও তার পার্শ্বে কিছু দিন অতিবাহিত করার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং মানুষের মাঝে উত্তম কাজের আগ্রহ অত্যধিক বৃদ্ধি পায়।
ঙ. হজের সময় প্রতি পদক্ষেপে পৃথিবীর সমগ্র মানবতার মহান তাওহীদবাদী ও কা‘বার পুনঃনির্মাণকারী ইবরাহীম (আ.), তাঁর পরিজন হাজেরা ও পুত্র ইসমাঈল (আ.)-এর পবিত্র জীবনের চিত্র অন্তরে চিত্রিত হয়। যা দ্বীনের উপর অটল থাকতে সহায়ক হয় এবং মানুষের মাঝে দীপ্তিমান জীবনের মশালবাহী বা দিকনির্দেশক হওয়ার জাযবাহ তৈরি করে।
চ. হজের সময় মক্কা মুকাররমা ও মদীনা মুনাওয়ারার কিছু ঐতিহাসিক স্থান দর্শনের সুযোগ হয়, যাতে ইসলামের সূচনা লগ্নের ইতিহাস স্মৃতির ফলকে বদ্ধমূল হয়ে যায়। এর ফলে ঈমানে সজিবতা, আস্থা এবং নিশ্চিত বিশ্বাসে দৃঢ়তা পয়দা হয়।
ছ. কাবা ঘর ও অন্যান্য পবিত্র নিদর্শন এবং হজের বিশাল জমায়েত-সমাবেশ দেখে ইসলামের সত্যতা অন্তরে বদ্ধমূল হয়ে যায়। হজের এই ধর্মীয় উপকারিতা ছাড়াও অন্যান্য বহু উপকারিতা রয়েছে।
(২) দৈহিক উপকারিতা
হজের সফরে এবং হজ চলাকালীন সময়ে হাজিদেরকে শারীরিক পরিশ্রমও করতে হয়। অনেক আরাম প্রিয় ও সওয়ারীতে অভ্যস্ত লোকদেরকেও অধিকাংশ সময় পদব্রজে চলতে হয়। যা তার দৈহিক সুস্থতার উপরে সুপ্রভাব ফেলে। তদ্রƒপ মক্কায় অবস্থানকালে জমজমের পানি পান করাতেও স্বাস্থ্য ভালো হয়ে যায়। আল্লাহ্র রহমতে বহু দুরারোগ্য ব্যাধি উপশম হয়ে যায়। যেরূপ বিভিন্ন ঘটনা থেকে জানা যায়।
(৩) আর্থিক উপকারিতা
হজের দৃঢ় নিয়তকারী কোন ব্যক্তি যদি হজ চলাকালীন সময়ে অবসরে কোন ব্যবসা করতে চায় এবং ইসলামী নিয়ম-কানুন মোতাবেক ব্যবসা করে, তাহলে ইসলাম সেক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে। যেমন পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই’ (বাক্বারাহ ২/১৯৮)। এখানে ‘অনুগ্রহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক উপকারিতা। সূরা হজের ২৭ ও ২৮নং আয়াতে হজ সম্পর্কিত বিধান ঘোষণার সাথে ইবরাহীম (আ.)-এর নিকট তার উপকারিতা ও লাভজনক দিকও উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘আর মানুষের নিকট হজের ঘোষণা কর, তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রের পিঠে, তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে। যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা রিজিক দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করতে পারে’ (হজ ২২/২৭-২৮)।
উপকারের তালিকায় মুফাসসিরগণ দ্বীনি ও আর্থিক উপকারিতা উভয়ই উল্লেখ করেছেন যে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কারবার দ্বারা দুনিয়াবী সচ্ছলতা অর্জিত হতে পারে।
(৪) সাংস্কৃতিক উপকারিতা
হজ যেহেতু বিশ্বের অদ্বিতীয়, অনন্য ও বিশাল জনসমাবেশ, যাতে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক এসে মক্কায় সমবেত হয়। কেউ আরব, কেউ অনারব, কেউ প্রাচ্য, কেউ পাশ্চাত্য থেকে আগমন করে। কেউ কালো, কেউ সাদা, কোন দেশের অধিবাসী দীর্ঘকায় শক্তিশালী, কোন দেশের নাগরিক খর্বকায় ও দুর্বল। এ সমস্ত লোকের বর্ণ-গোত্র, ভাষা ও সাংস্কৃতি ভিন্নতর হওয়া সত্ত্বেও একই কেন্দ্রে সমবেত হয়। এ অবস্থায় লোকেরা একে অপরের তাহযীব-তামাদ্দুন, সভ্যতা-সংস্কৃতি, তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ, রীতি-নীতি, আকার-আকৃতি, অভ্যাস-প্রকৃতি, খাদ্য-পানীয় প্রভৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়। এ সময় সুচতুর হজকারী ইচ্ছা করলে অন্যদের স্বভাব-প্রকৃতি, রীতি-পদ্ধতি, সভ্যতা-সংস্কৃতিতে নিজেকে ভূষিত করতে পারে। আর অন্যের উত্তম গুণাবলী গ্রহণ করে নিজেকে আরো সুন্দর ও পরোপকারী মানুষে পরিণত করতে পারে।
(৫) ঐক্য-সংহতির উপকারিতা
হজের বিশাল সমাবেশে ভিন্ন বর্ণ-গোত্র, স্বতন্ত্র ভাষা, পৃথক সভ্যতা-সংস্কৃতির মানুষ একত্রিত হয়। যা মূলত ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের সুস্পষ্ট ও শক্তিশালী প্রকাশ। একজন হাজি ইউরোপের কোন উন্নত দেশের, কেউ আফ্রিকার পশ্চাৎপদ দেশের, কেউবা এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক। সবাই এক সাথে কাবা ঘরের তাওয়াফ করে, ছাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করে, আরাফায় একত্রে অবস্থান, মুযদালিফার উদ্দেশ্যে এক সাথে যাত্রা, এক সাথে মিনায় অবস্থান ও কংকর নিক্ষেপ এবং হজের সকল রুকন মিলে মিশে পালন করে। মসজিদে হারামে একে অপরের সাথে মিলে সালাত আদায় করে। হজের সমস্ত কর্মকা- ও ইবাদত আদায়ের ক্ষেত্রে কারো উপরে কারো মর্যাদা ও প্রাধান্য নেই। সবাই পরস্পরের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখে এবং একে অপরকে সম্মান ও সেবা করার প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এটা এমনই একতা বা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ফায়েদা যা কেবল হজের সমাবেশকালে অর্জিত হয়।
(৬) ইসলামী (জ্ঞানগত) ও দাওয়াতী উপকারিতা
হজের ইলমী ও দাওয়াতী বহু উপকারিতা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত। বিশেষত বিদ্বানগণের জন্য হজের এ বিশাল সমাবেশ কোন শিক্ষা সম্মেলন ও সেমিনার অপেক্ষা কোন অংশে কম নয়। এখানে সারা পৃথিবীর বিদ্বানগণ একত্রিত হন। একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করে ধর্মীয় বিষয় ও ফিক্বহী মাসআলা সম্পর্কে পারস্পরিক চিন্তাধারা আদান-প্রদান করতে পারেন এবং একে অপরের নিকট থেকে ইলমী উপকার লাভ করতে পারেন। যে যুগে বর্তমান সময়ের মত গ্রন্থ মুদ্রণ ও প্রকাশের ব্যাপকতা ছিল না এবং শিক্ষা-দীক্ষারও আরামদায়ক মাধ্যম বিদ্যমান ছিল না, তখন দুনিয়ার বিদ্বানগণের জন্য হজের মৌসুমই সমবেত হওয়ার ও সাক্ষাতের মাধ্যম ছিল। ইতিহাসের পাতায় ১০টি এমন ঘটনা পাওয়া যায়, যাতে ঐ ধরনের শিক্ষা সমাবেশের বর্ণনা রয়েছে।
ইলমী উপকারিতার সাথে সাথে হজের দাওয়াতী ফায়েদাও সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত। হজের সময় হাজিগণের ধর্মীয় বিষয় এমন অনেক বিষয়ের জ্ঞান লাভ হয়, যে বিষয়ে তাদের জ্ঞান ছিল না। এ সময়ে সউদি সরকার হাজিদের মাঝে দাওয়াত-তাবলীগ এবং তাদেরকে ধর্মীয় বিষয়ে দিক নির্দেশনা দান করার জন্য তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে। সকল দেশ ও এলাকার বিভিন্ন ভাষার বিদ্বান ও মুবাল্লিগগণের দল জায়গায় জায়গায় দিক নির্দেশনার জন্য প্রস্তুত থাকেন। বিশেষ করে মুসলমানদের আক্বীদা ও আমল সংশোধনের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়। যদি কোন হাজি একনিষ্ঠতার সাথে ঐসব প্রোগ্রাম থেকে উপকার লাভের ইচ্ছা করে এবং হজের সফরকে পিকনিক এবং পর্যটন ও প্রমোদ বিহারের প্রোগ্রাম হিসাবে গ্রহণ না করে নিজেকে সংশোধনের চেষ্টা করে তাহলে নিঃসন্দেহে সে অতি বড় উপকার লাভ করতে পারবে। এছাড়াও (উপরে বর্ণিত উপকারিতা ছাড়াও) হজের আরো নানা ধরনের উপকারিতা-ফায়েদা ও লাভ রয়েছে, যা দূরদর্শীদের দৃষ্টির অন্তরালে নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হজের ফজিলত ও উপকারিতা
আরও পড়ুন