Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গড়াই নদীর ভাঙন অব্যাহত

মন্ত্রী-এমপির আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি

সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

গড়াই নদীর অব্যাহত ভাঙনে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের অসংখ্য আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার বসবাসরত লোকজন চরম হতাশার মধ্যে দিন-রাত অতিবাহিত করছে।
ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমের প্রবল বর্ষণ ও তীব্র স্রেতে বর্ষার পানি নামার সাথে সাথেই শুরু হয় তীব্র নদী ভাঙন। এভাবে অব্যাহতভাবে নদী ভাঙনের ফলে নদী পাড়ের অসংখ্য আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি দিন-দিন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী গর্ভে সর্বস্ব হারিয়ে শত শত পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। বিশেষ করে আমলসার ইউনিয়নের বদনপুর, আমলসার ও টিকারবিলা গ্রাম, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের চরচৌগাছি, ঘসিয়াল ও গঙ্গারামখালী গ্রাম এবং কাদিরপাড়া ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে পড়েছে। এ বিষয়ে চরচৌগাছি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী বলেন, চরচৌগাছি ও ঘসিয়াল গ্রামের প্রায় ৫শ’ একর ফসলি জমি এবং অসংখ্য বাড়ি-ঘর নদী বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর সব হারিয়ে সরকারি খালের ধারে আশ্রয় নিয়েছে। মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্ত তার সুফল এখন পর্যন্ত তারা পাননি বলে জানান।
এ বিষয়ে দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কানন জানান, নদী ভাঙন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সম্ভবমতো সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। তবে ভাঙন কবলিত এলাকা এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় পরিদর্শন করেছেন। আশা করি অতিদ্রæত সমাধান হয়ে যাবে।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান সুজন জানান, বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচরে আছে। এবিষয়টি প্রতিকারের জন্য ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জন্য বরাদ্ধ চেয়ে উর্ধ্বতন র্কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমে বেশকিছু দুর্গত এলাকায় জিওব্যাগও ফেলা হয়েছে। তাছাড়া মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মহোদয় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও বরাদ্ধ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ