বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হৈ চৈ করে ও হাঙ্গামা বাধিয়ে বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই অনুষ্ঠান ভন্ডুল করে দিল কিছু মুক্তিযোদ্ধা।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক ৯২ জন মুক্তিযোদ্ধার যাছাইবাছাই অনুষ্ঠানটি শনিবার বগুড়া সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে সকাল ১১টায় শুরু হয়। জামুকা কর্তৃক ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, অপর দুই সদস্য মুক্তি যোদ্ধা এড. সদরুল আলম রন্জু ও এ এইচ এম কায় খসরু।
বাছাই কাজ শুরুর একটু পরই কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে হট্টগোল শুরু করে। এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যান। এসময় নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধো আগত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের স্বাক্ষীরা শ্লোগান দিতে থাকে।
যাছাই বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেও এ প্রসঙ্গে বলেন , যাচাই বাছাই অনুষ্ঠান ভন্ডুলের বিষয়টি আমরা জাতীয় মুক্তি যোদ্ধা কাউন্সিল ( জামুকা) এর মহাপরিচালককে মেইলে জানিয়ে বিচার দাবী করেছি।
আব্দুল কাদের আরও জানান, অনুষ্ঠান চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. রেজাউল করিম মন্টু, ইকবাল হোসেন রতন,জহুরুল ইসলাম মন্টু, আব্দুল মজিদ ও হেলাল উদ্দিন কমিটির সদস্য সদরুল আনাম রন্জুকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে গালিগালাজ শুরু করে তার অধীনে যাছাই বাছাইয়ে অংশ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। এতে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাক্ষীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তিনি অভিযোগ করে বলেন কেউ কেউ অনুষ্টান ভন্ডুল করতে পারে এমন আশংকায় নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তিনি আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশের সহযোগিতা নেননি।
গত ২০২০ সালের ২১- ৩০ নভেম্বর যাচাই বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ওই কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঝন্টু ছিল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মেহেরপুরের এক মুক্তিযোদ্ধার এফ এফ নাম্বার ব্যাবহার করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন। ওই বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দিলে জামুকা নুতন কমিটির মাধ্যমে যাচাাই বাছাই এর অনুমতি দেন।
তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. রেজাউল করিম মন্টু জানান, বর্তমান কমিটির দুইজন আব্দুল কাদের ও সদরুল আনাম রন্জু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। ইতোপুর্বে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তাই উক্ত যাচাই বাছাই ব›ন্ধ করার কথা বলেছি। কারন একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদ একজন ভূয়া দিতে পারেনা। আরও বলেছি, যদি যাচাই বাছাই করতেই হয় তাহলে ওই দুইজনকে বাদ দিয়ে করা হোক। আমার এ বক্তব্যের সাথে আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা সমর্থন করে। এতে হৈচৈ শুরু হলে নির্বাহী কর্মকর্তা জামুকার সাথে কথা বলে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তিনি আরও বলেন, ভূয়া দুই মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে যাছাই বাছাই হলে তারাও বৈধতা পেয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে জানান, কিছু মুক্তিযোদ্ধা কমিটির দুই সদস্যেও উপর অভিযোগ আনেন। এই নিয়ে হৈ চৈ হলে জামুকার সাথে কথা বলে কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে জামুকার কাছ থেকে যেভাবে নির্দেশনা পাবো সেই ভাবেই যাছাই বাছাই কাজ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।