বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাট সংবাদদাতা : বাগেরহাটে বাবা হত্যার দায়ে ছেলেকে ফাঁসি ও ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে বড় ভাই ভবসিন্ধু বৈরাগী (৩৮) নামে এক সহোদরকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছে পৃথক দুটি আদালত। আদালত একই সঙ্গে দন্ডাদেশপ্রাপ্তদের অর্থদণ্ড দিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ভবসিন্ধু বৈরাগীর স্ত্রী আঁখি বৈরাগীকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলুল হক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মোহম্মদ রেজাউল করিম এই পৃথক আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া ভবসিন্ধুর অনুপস্থিতেতে এই আদেশ দেয়া হয়। অন্যদিকে মোল্লাহাট উপজেলার তুহিন কাজী (২৭) রায় ঘোষণার সময়ে কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া ভবসিন্ধু বৈরাগী বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঢেউয়াতলা গ্রামের প্রয়াত অমূল্য বৈরাগীর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শেখ মোহম্মদ আলী মামলার নথির বরাত দিয়ে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট ভোর রাতে ছেলে তুহিন কাজী তার বাবা আবু সাঈদ কাজীকে ঘুম থাকা অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের মেয়ে সুমী আক্তার তার ভাই তুহিন কাজীকে আসামী করে মোল্লাহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) তুহিন মণ্ডল তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আসামী তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত তুহিনকে ফাঁসি ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের সহকারই কৌঁসুলি সীতা রাণী দেবনাথ মামলার নথির বরাত দিয়ে বলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঢেউয়াতলা গ্রামের প্রয়াত অমূল্য বৈরাগীর বড় ছেলে ভবসিন্ধু বৈরাগীর সঙ্গে তার ছোট ছেলে অখিল বৈরাগী (১৮) পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে ২০০৮ সালের ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে দশটার দিকে অখিল তার মাছের ঘেরে কাজ করার সময় আকষ্কিকভাবে তার বড় ভাই ভবসিন্ধু তার স্ত্রী আঁখি সেখানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এই ঘটনার পরদিন নিহতের চাচাতো ভাই গুরুদাস বৈরাগী বাদী হয়ে ভবসিন্ধু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী তদন্ত শেষে নিহতের বড় ভাই ও ভাবি অখিলকে অখিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এই প্রমাণ পাওয়ায় ওই বছরের ১৮ জুন তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ভবসিন্ধুকে ফাঁসি ও তার স্ত্রীকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক ভবসিন্ধুকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।