দেশে-বিদেশে সরকারের অপশাসন, কুশাসন প্রচার তড়িঘড়ি করে আড়াল করতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজানো মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে নড়াইলের আদালত ফরমায়েশী রায় দিয়েছে। এই রায় সম্পূর্ণরুপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সত্য উচ্চারণের কারণে মানহানি মামলায় এ ধরণের রায় নজীরবিহীন ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে নড়াইলে দায়ের করা মানহানি মামলায় বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নড়াইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এই আদেশ প্রদান করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই ঘটনায় পরিস্কারভাবে বোঝা যায় যে, আইন আদালত সরকারের হাতের মুঠোয়। মূলতঃ নানা অপকীর্তির কারণে বর্তমানে দেশে-বিদেশে এই সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট। এই কারণে সরকার বেপরোয়া ও উন্মাদ হয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নিতে একতরফা বিচারিক প্রক্রিয়া চালিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রায় দেয়া হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতের রায় কুটিল মাষ্টারপ্ল্যানেরই অংশ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। কন্ঠরোধ করা হয়েছে গণমাধ্যমের। কেউ সত্য উচ্চারণ করলেই তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার খড়গ। এই মামলাটিও এর ব্যতিক্রম নয়।

তিনি বলেন, সরকারের ভয়াবহ নির্যাতন ও নিপীড়ণে শুধু গণমাধ্যম নয়, গোটা জাতি এখন সেল্ফসেন্সরশীপে ভুগছে। এর মধ্যে সরকারের কিছু অপকর্ম বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সেটির উপযুক্ত ব্যাখা না দিয়ে বরং তারেক রহমানকে সামনে আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে। বর্তমান বাংলাদেশে মামলা ও আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছাতেই নির্দেশিত হয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার এই নজীরবিহীন রায়ও বর্তমান সরকারপ্রধানের ইচ্ছারই প্রতিফলন। মির্জা ফখরুল এই রায় প্রত্যাখান করে রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে এই রায় প্রত্যাহারের আহবান জানান।