পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বিনোদন স্পট হাতিরঝিল। ইট-পাথরের এই ঢাকায় পরিবেশ ও নান্দনিকতায় নগরবাসীর মনে জায়গা করে নিলেও এই স্পট ঘিরে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠছে অপরাধচক্র। বখাটেপনা, মাদক বাণিজ্য, দেহ ব্যবসাসহ নানামুখী অপরাধ এখন ওপেন সিক্রেট। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা লোকজন নিজেদের অনিরাপদবোধ করছেন। হাতিরঝিলে গভীর রাত পর্যন্ত বেপরোয়া মোটরসাইকেল রেসিংয়ে মগ্ন থাকে অপরাধ জড়তে পা বাড়ানো কিশোর ও তরুণ গ্যাং। চলে কার রেসিংও। এতে প্রভাবিত হয় আশপাশের তরুণ-যুবকরা। এখানে গাড়ি ও দৃষ্টিনন্দন ব্রিজগুলোতে বসে তরুণীদের উত্ত্যক্ত করে বখাটেরা। এ কারণে হাতিরঝিলের আশপাশের বাসিন্দারাও অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। বাসিন্দারা সব সময় থাকেন আতঙ্কে ও উদ্বেগে।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই হাতিরঝিলের অন্ধকার স্থানে বসে মাদকসেবীদের আসর। আর অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় রাতের গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে। চলে ছিনতাই, অসামাজিক কার্যকলাপ। ওই এলাকা মাঝে মাঝে অভিযান চললেও অপরাধীরা বেপরোয়া।
জানা গেছে, পুরো হাতিরঝিল প্রকল্পে রয়েছে মোট ৩০৩ একর জায়গা। বেগুনবাড়ি, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, উলন, মধুবাগ, মগবাজারকে ঘিরে এখানে দুই লেনের সিগন্যালবিহীন এক্সপ্রেসওয়ে আছে আট কিলোমিটার। দুই লেনের সার্ভিস রোড ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার। হাতিরঝিলে ফুটপাতের দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার এবং জলের ধারে হাঁটা পথের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। চারটি সেতু, চারটি সংযোগকারী ওভারপাস, চারটি আন্ডারপাস, দুটি ইউলুপ রয়েছে হাতিরঝিলের সড়কগুলোতে। সার্কুলার বাস সার্ভিসের জন্য ৬টি বাসস্টপ ও যাত্রীছাউনি এবং ওয়াটার ট্যাক্সির জন্য তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। ছয়টি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স এবং ৫০টি সাইকেল রাখার মতো স্ট্যান্ড ও ২৩০টি যানবাহনের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। লেকের ধারে দর্শনার্থীদের জন্য ২৪টি ডেক, দুটি সিড়ি বাঁধানো ঘাট এবং বিশ্রামের জন্য ৫০০টি বেঞ্চ রয়েছে। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য হাতিরঝিলে আছে দুই হাজার আসনের একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার এবং ১০-তলার একটি কার পার্কিং ব্যবস্থা। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে এখন অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, মাদক সেবী ও বখাটেরা হাতিরঝিলকে নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন হাতিরঝিলের আশপাশে বসবাসকারী বাসিন্দারা। এছাড়াও ঘুরতে আসা লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতিরঝিলের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে ৩৮টি গলি। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওইসব গলিতেই অবস্থান নেয় বখাটেরা। এছাড়াও প্রতিটি গলি কেন্দ্রীক গড়ে উঠেছে একাধিক অপরাধী চক্র। ওই চক্রের সদস্যরা নিজেদের এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। এমনকি অধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রæতার জের ধরে হাতিঝিল এলাকায় একাধিক খুনও হয়েছে।
গত বছর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম মেহেদী নামের একজন খুন হয়েছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাসপোর্ট করাতে এসে দালালের খপ্পরে পড়ে খুন হন। পরে তার লাশ হাতিরঝিলের রামপুরা অংশের লেকে ফেলে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং খুনের রহস্য উদঘাটন করে। শুধু মেহেদীই নয়, একই বছর প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে খুন হয় শিপন হাসান নামের আরেক জন। পরে নিহত শিপনের বাবা সাইদুর ইসলাম বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শুধু খুন নয়, হাতিরঝিলের চারটি ওভারব্রিজের অন্তত ৮টি স্পটে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন বিনোদন পিয়াসীরা। ওভারব্রিজের ওপর হাতিরঝিলের নিজস্ব সিকিউরিটি গার্ড না থাকা ও পুলিশের কম নজরদারির কারণে প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ব্যক্তি, হাতিরঝিলের সিকিউরিটি গার্ড ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মধুবাগ ও মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় দু’টি ব্রিজের পাশাপাশি চারটি ওভারব্রিজ রয়েছে। মধুবাগ এলাকায় রয়েছে বেগুনবাড়ি ও মধুবাগ ওভারব্রিজ। মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় রয়েছে আড়ং ও মহানগর সাইড ওভারব্রিজ। এই চারটি ওভারব্রিজের ওঠা ও নামার পথে আটটি স্পটে ছিনতাইয়ে ঘটনা বেশি হচ্ছে। তবে হাতিরঝিলে ছিনতাইয়ের সঙ্গে কারা জড়িত? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, নিরাপত্তারক্ষী, পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তেজগাঁও, কুনিপাড়া, মধুবাগ এলাকার বখাটেরা এসব ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। এদের অধিকাংশের বয়স ১৫-২০ বছর। এই বখাটেদের অন্তত ৫-৭টি গ্রæপ রয়েছে। প্রতি গ্রæপে সদস্য সংখ্যা ৫ থেকে ৮ জন। তারা সবাই আশেপাশের এলাকায় বসবাস করে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাতিরঝিল এলাকা রয়েছে বখাটে ও মাদকসেবীদের দখলে। কোথাও দল বেঁধে চলছে নেশা। বসার জন্য বেঞ্চ, ওভারপাস ও আন্ডারপাসগুলোতে নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে বখাটেরা। তবে কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেখা মেলেনি। তাই এখন হাতিরঝিলে ঘুরে বেড়ানো দূরের কথা, চলাচল করাও অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
মধুবাগ এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদ। গতকাল তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, হাতিরঝিল দিন দিনই উপভোগের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে ছিনতাইকারী, মাদকসেবী আর ভাসমান দেহজীবীদের অভয়ারণ্যে। রাত যত বাড়তে থাকে ততই যেন নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে পরিবেশ। ল্যাম্পপোস্টের আলো লেক ঢালের যেসব স্থানে পৌঁছে না, সেসব স্থানেই মাদকসেবীরা অবস্থান করে। এছাড়াও সংযোগ সেতুর আশপাশেই মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের তৎপরতা বেশি বলে জানান তিনি।
হাতিরঝিল প্রজেক্টের আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন বিকেলে হওয়ার সাথে সাথে বখাটে ছেলেমেয়ে ঢুকে পড়ে হাতিরঝিলে। একাধিক গ্রæপে ভাগ হয়ে নানামুখী উচ্ছৃঙ্খলতা আর খোলামেলা মাদক সেবনে রীতিমতো হৈ-হুল্লোড় সৃষ্টি করে তারা। বিশেষ করে মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় অবিস্থত একটি ব্রিজে বখাটে তরুণ-তরুণীদের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় প্রতি রাতেই অর্ধনগ্ন তরুণ-তরুণীদের বেলেল্লাপনা চলে এখানে। রাস্তা ধরে ব্রিজটির নিচে লেকঘেঁষা ঢালে তরুণ-তরুণীর বিব্রতকর আড্ডাবাজি চলে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও কুনিপাড়া, বেগুনবাড়ী, মহানগর প্রজেক্টের আবাসিক এলাকা, উলন এলাকায় প্রকাশ্যেই মাদক কেনাবেচা চলে।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, হাতিরঝিল তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া ও বেগুনবাড়ী অংশের বস্তিঘরগুলোর সঙ্গেই লাগোয়া রয়েছে রাস্তা-ফুটপাত। বাসিন্দারা সীমানা দেয়ালের মধ্য দিয়েই বাড়িঘরের গেট বানিয়ে নিয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত এসব বস্তির নারী-পুরুষ-শিশুরা দল বেঁধে বিচরণ করে থাকে। সেখানে বহিরাগত কোনো দর্শনার্থী গেলে নানাভাবে হেনস্তা হতে হয়। টিনশেড বেশকিছু বস্তিঘরের দরজা সীমানা দেয়ালে আটকে পড়লেও তারা বাঁশের মই বানিয়ে নিয়েছেন। দোতলা টিনের ঘর থেকে মই নামিয়ে দেয়া হয় রাস্তা ও ফুটপাতে। এছাড়াও টিনশেড ঘরের পাশে রয়েছে বহুতল বিশিষ্ট কয়েকটি ভবন। ওই ভবনগুলোর বাসিন্দারা জানান, কুনিপাড়া, বেগুনবাড়ী, মধুবাগ, উলন এলাকায় কয়েকটি বাসায়ও অপরাধীরা অবস্থান নেয়। হাতিরঝিলে ঘোরাফেরার সুবাদে খদ্দের জুটিয়ে দেহজীবীরা নিজেদের বাসাবাড়িতে নিয়ে যান। রাতভর চলে আনন্দফুর্তি।
গতকাল মহানগর আবাসিক এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সুইচ্চ একটি ব্রিজ রয়েছে। সেই ব্রিজ দিয়ে একপাশ থেকে অপর পাশে পায়ে হেটে মানুষ চলাচল করছেন। ব্রিজের একপাশ কুনিপাড়া। অপরপাশে রয়েছে মহানগর আবাসিক এলাকা। সুউচ্চ ব্রিজের রেলিংয়ে বখাটেরা আড্ডা দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেখানে বসে আশপাশের বাসার বাসিন্দাদের উদ্দেশে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। এতে বাসার বাসিন্দারা ছাদে বা বারান্দায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন। হাতিরঝিলে আসা এক দর্শণার্থী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এখানে অনেকে গাজার ব্যবসা করেন, অনেকে এখানে এসে মদ খায়, মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মহানগর আসিক এলাকা ও পশ্চিম উলনে একটি ছোট খেলার মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। বিকেল হলেই ওই মাঠে শুধু মাদক বেচাকেনা। গভীর রাত পর্যন্ত মাদক বেচাকেনা হয় সেখানে। এছাড়াও গভীর রাতে সেই এলাকায় রিকশা আটকিয়ে ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এদিকে, সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতরে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখা পরিচালিত ফেসবুক পেজে একজন নাগরিক হাতিরঝিলে বেড়াতে এসে হয়রানির শিকারের বিষয়টি অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, হাতিরঝিল এলাকায় অবসরে সময় কাটানোর জন্য আগত বিনোদনপ্রেমীরা কিছু কিশোর কর্তৃক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পরে বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার জন্য পুলিশ সদর দফতর থেকে হাতিরঝিল থানার ওসিকে অবহিত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাতিরঝিল থানার তাৎক্ষণিক উদ্যাগ ও তৎপরতায় গত ২৬ জানুয়ারি রাতে হাতিরঝিল এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬ কিশোরকে আটক করা হয়। এরপর থেকে ধারাবাহিক অভিযানে হাতিরঝিলে বেড়াতে আসা মানুষকে হয়রানির অভিযোগে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের দেয়া তথ্য বলছে, আটককৃতদের মধ্যে ২৬৯ জনকে অভিভাবকদের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা এবং বাকি ৭১ জনকে ডিএমপি অ্যাক্টে জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আব্দুর রশিদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, হাতিঝিলে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। কিন্তু জনবলের অভাবে অনেক সময় সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হয়। তারপরও হাতিঝিলে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন হাতিরঝিলে অভিযান চালিয়ে মাদকের ক্রেতা-বিক্রেতা ও বখাটেদের আটক করা হয়। এরই অংশ হিসেবে গতকাল হাতিরঝিল ও আশপাশের এলাকা থেকে ৫৪ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে আটকদের মধ্যে ৪৩ জনকে শর্ত সাপেক্ষে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিএমপি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা জানান, হাতিরঝিলে অবসর কাটাতে আসা মানুষের বিনোদনকালীন সময় স্বস্তিদায়ক করার লক্ষ্যে ২৭ জানুয়ারি থেকে পোশাকে ও সাদা পোশাকে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল পেট্রোল টিমও দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রভাষক এ বি এম নাজমুস সাকিব দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, উড়তি বয়সী ছেলে-মেয়েরা ক্লান্তি দূর করার জন্য হাতিঝিলে আসে। এ সময় একজন আরেকজনের সাথে আড্ডা দিয়ে অবসর সময় কাটায়। এক পর্যায়ে তারা ছিনতাই, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এমন অপরাধ কমাতে হলে সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের নজরদারী বাড়াতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা রুটিন মাফিক অভিযান চালাতে পারলে এমন অপরাধ কমানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।