Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লোকসানে ভূরুঙ্গামারীর সবজি চাষি

রফিকুল হাসান রনজু, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষে লোকসানের মুখে পড়েছে কৃষক। অধিক লাভের আশায় চাষ করা সবজিতে এখন উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না তারা। সবজি বাজার মন্দা অবস্থা বিরাজ করায় সবজি এখন কৃষকের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাভের বদলে লোকসান গুনতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ করে সবজির দর পতন হওয়ায় উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তারা। একদিকে নির্দিষ্ট সময় পরে ক্ষেতে সবজি রাখা যাচ্ছে না, অপরদিকে পঁচনশীল পণ্য হওয়ায় কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন ফলে লোকসানের মুখে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরছেন সবজি চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গতকাল মঙ্গলবার গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, বেগুন, শিমসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ সবজি বাজারে নিয়ে এসেছেন। বেগুনের কেজি ৫ থেকে ৮ টাকা, শিম ১৫, ফুলকপি-বাঁধাকপি ২-৩ টাকা পিছ, ধনেপাতা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, গাজর ১৫ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, আলু ১৫ টাকা, পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ২ টাকা, মিষ্টিলাউ ১টি ২০ টাকা, অন্যান্য শাক বিক্রি হচ্ছে ৩টি বড় আঁটি ১০ টাকায় ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দফা বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে চাষাবাদে যে ক্ষতি হয়েছিল সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ২২০ হেক্টর। কিন্তু কৃষকরা আবাদ করেছেন ১ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে এবং আলুর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৪৭০ হেক্টর জমিতে।
প্রান্তিক কৃষক মফিজ মিয়া জানান, দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি আবাদ করতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। উৎপাদন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে প্রতি পিচ কপি বিক্রি করতে হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকায়। এতে শ্রমিকের মজুরিও উঠছে না। আরেক কৃষক রমিজ মিয়া জানান, দেড় বিঘা জমিতে তিনি আলু আবাদ করেছে। ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু প্রতি কেজি আলু ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভ তো দূরে থাক উৎপাদন খরচও উঠবে না। কাচামাল ব্যবসায়ী বেলাল জানান, আড়ত থেকে প্রতি পিচ কপি ৩ টাকায় কিনে ৫ টাকা বিক্রি করছি। এ ছাড়া প্রতিকেজি আলু ১২ টাকায় কিনে ১৫ টাকায় বিক্রি করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এবার আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় শীতকালিন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। একই সময়ে সব সবজি বাজারে ওঠায় হয়তো সবজির দাম একটু কম পাচ্ছে কৃষক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ