রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
‘ঘর দেবে কইয়্যা টাকা নিছে, ছবি নিছে, ভোটার কার্ডের ফটোও নিছে। হুনছি মোগো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায়দের ঘর দিছে। কিন্তু মোরা তো ঘর পাইলাম না’। কষ্টে ভরা কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রামের দরিদ্র উমেষের স্ত্রী সবিতা রানী। তিনি জানান, ‘ঘর দেয়ার কথা কইয়্যা মোগো গ্রামের তসলিম সিকদার মোর ও মোর পোলার কাছ থেকে ১০ হাজার টাহা নিছে। বলছে, চেয়ারম্যানের টাকা দিলে ঘর দিবে। সে চেয়ারম্যানের লগেই থাহে। কত লোহে ঘর পাইলো, কিন্তু মোগো ঘর দিলো না। এখন টাহাও ফেরত দেয় না, টালবাহানা করে।
এই ভাঙাচোরা ঘরে থাহি। কোনো রহম পান বেচিয়া জীবন চলে। ঘর আর কপালে জুটলো না। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফোরাম মিয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, উমেষ ও তার স্ত্রী দুই-একদিন আগে আমার কাছে আসছিল। ঘরের জন্য তারা নাকি তসলিমের মারফত চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা দিছে।
এ বিষয়ে তসলিম সিকদার জানান, ঘরের জন্য আমি উমেষের স্ত্রী সবিতা ও বিধবা আমেনা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বোর্ড অফিসে বসে একটি টেবিলে টাকা রাখছি। আমরাও তো ঘর পাইনি। কাঁকড়াবুনিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘর দেয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।