Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

১১ মাস ট্রেন চলাচল বন্ধ

চরম ভোগান্তিতে চিলমারীর যাত্রীসাধারণ

ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা, ড্রাইভার, ইঞ্জিন স্বল্পতা ও স্টেশন মাস্টার না থাকার কারণ দেখিয়ে চিলমারী-পার্বতীপুর রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ ১১ মাস ধরে। স্বল্প ভাড়ায় সহজেই ট্রেনে চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপুর ও পার্বতীপুর থেকে চিলমারীর রমনা যাতয়াত করতে সুবিধা হত যাত্রীদের। বন্ধ থাকার ফলে রেলপথে যাতায়াতকারী জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ ছাড়াও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্তের শিকার এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ট্রেন চলাচল বন্ধে বেকার হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ৮ মার্চ দুপুরে চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপুর ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। এখনও বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। কবে থেকে আবারও নিয়মিতভাবে চিলমারী-পার্বতীপুর পথে ট্রেন চালু করা হবে এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ কেউই পরিস্কার করে কিছু বলতে পারছেন না।
সূত্র মতে, ১৯২৮ সালের ২ আগস্ট বন্দর নগরী চিলমারী থেকে প্রথম রেলপথ চালু হয়। তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার রেলপথ পড়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভেতরে। সে সময় যাত্রীদের সুবিধার্থে এই ৪৩ কিলোমিটার রেলপথে স্থাপন করা হয় ৮টি স্টেশন।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম রেলপথ চালুর পর পার্বতীপুর-রমনা রেলপথে সকালে ও সন্ধ্যা মিলে ২টি ও লালমনিরহাট-রমনা পথে দুপুরে ও রাতে ২টিসহ মোট ৪টি ট্রেন চালু ছিল। ২০০২ সালের দিকে হটাৎ করে পার্বতীপুর-রমনা রুটে ১টি ও লালমনিরহাট-রমনা রেল পথের দুটি ট্রেনসহ মোট ৩টি ট্রেন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে একটি ট্রেন পার্বতীপুর-রমনা রুটে সকালে রমনা এসে তিস্তা গিয়ে ফের দুপুরের ট্রেন হয়ে চলাচল করতো।
বন্দর নগরীর ব্যবসায়ী গওছল হক, ফিরোজ, সুইট, সোহেলসহ আরো অনেকেই জানান, কম খরচে নিরাপদে বিভিন্ন মালামাল ট্রেনে পরিবহণ করতে পারতাম। কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও সিএনজি দিয়ে বেশি টাকা ব্যয় করে মালামাল পরিবহন করতে হচ্ছে। যার ফলে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাসহ দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত যাত্রীরা ভীষণ কষ্টের মধ্যে পড়েছি।
করোনা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ড্রাইভার, ইঞ্জিন স্বল্পতা ও স্টেশন মাস্টার না থাকার কারণে ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে বলে জানান, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ। এ মুহুর্তে ট্রেনটি চালুর পরিকল্পনা নেই বলেও জানান এই কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ