বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সনাক্তের হার এ যাবতকালের সর্বনিম্ন পর্র্যায়ে হ্রাসের মধ্যেই ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে টিকা প্রদানের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলার জন্য প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ প্রতিরোধ টিকা পৌছে গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে এ অঞ্চলের ৪২টি উপজেলার ৪০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও ৬টি জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল ও দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা টিকা প্রদান শুরু হবে। এ লক্ষে ইতোমধ্যে সব সিভিল সার্জন, ডেপুটি সিভিল সার্জনের পরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকদের প্রশিক্ষন প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আজকালের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের সব হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসকওনার্সদের প্রশিক্ষনও সম্পন্ন হবে বলে পরিচালকÑস্বাস্থ্য জানিয়েছেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বরাদ্বকৃত ৩ লাখ ৪৮ হাজার ডোজ টিকার মধ্যে বরিশাল মহানগরী সহ জেলার জন্য ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্ব হয়েছে। অনলাইনে নিবন্ধন সহ টিকা প্রদানের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ৭ ফেব্রুয়ারী ধেকে প্রথম দিকে দক্ষিনাঞ্চলে চিকিৎসক থেকে চিকিৎসা কর্মীদেরই টিকা প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে। এ তালিকায় স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক সহ সব জেলার সিভিল সার্জন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ছাড়াও সর্বস্তরের চিকিৎসক,নার্স সহ এ অঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মী টিকা গ্রহন করবেন।
এদিকে সদ্যসমাপ্ত জানুয়ারী মাসে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমন ও মৃত্যু হার আগের সবগুলো মাসের তুলনায় নিচের দিকে ছিল। জানুয়ারী মাসের ৩১ দিনে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪১। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। যা ডিসেম্বরে ছিল যথাক্রমে ৫২০ ও ১৩। গত অক্টোবরে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় কোভিড-১৯ রোগী সনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫১৭। মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা নভেম্বরে প্রায় ৩৫% বেড়ে ৮৬১’তে উন্নীত হয়। তবে মৃতুর সংখ্যা ছিল ৮ জন। কিন্তু ডিসেম্বর মৃতের সংখ্যা আগের মাসের চেয়ে আরো ৫০% বেড়ে ১৩ জনে উন্নীত হলেও আক্রান্তের সংখ্যা দু মাস আগে অক্টোবরের কাছে ৫২০’এ হ্রাস পায়।
এদিকে জানুয়ারীর শেষদিন পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মোট কোরানা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১০ হাজার ৬০৮ জনে। আর এসময় পর্যন্ত মৃত্যুও সংখ্যা ২শতে পৌছেছে। এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ১.৮৯%। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী জানুয়ারীর শেষদিন পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মোট সুস্থ হয়েছে ১০ হাজার ২০৫ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৩৬%।
তবে এখনো বরিশাল মহানগরী আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষেই রয়েছে। গত জানুয়ারীতে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্ত ২৪১ জনের মধ্যে বরিশাল জেলার সংখ্যাটা ১১৪ হলেও তার প্রায় ৮০ভাগই ছিল এ মহানগরীতে। তবে এসময়ে নগরীতে কারো মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত পটুয়াখালীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭৪৩। যারমধ্যে জানুয়ারীতে আক্রান্ত ছিল ৩৯ জন। এ জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। ভোলাতে জানুয়ারী মাসে ৪০ জন সহ মোট আক্রান্ত ৯৮০ জনের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। পিরোজপুরে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ১,১৮৮ জনের মধ্যে জানুয়ারীতে আক্রান্ত ছিল ৩০জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৫ জন। বরগুনাতে মোট আক্রান্ত ১,০৩২ জনের মধ্যে জানারীতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯ জন। তবে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। আর ঝালকাঠীতে মোট ৪৩৭ জন আক্রান্তের মধ্যে জানুারীতে সংখ্যাটা ছিল ৯ জন। আর এপর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ছোট এ জেলায় মারা গেছেন ১৬জন।
বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ ও ভোলা হাসপাতালে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৫ হাজার সন্দেহভাজনের নমুনা পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে বরিশালেই পরিক্ষার সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার। দক্ষিনাঞ্চলে এপর্যন্ত নমুনা পরিক্ষার তুলনায় গড় সনাক্তের হার ১৪.৭৭%-এ হ্রাস পেলেও গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারীতে সনাক্তের হার প্রায় ৫%-এ হ্রাস পেয়েছে। আক্রান্তের বর্তমান হার শীতের এ সময়ে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন কিছুৃটা আশাব্যঞ্জক বলে মনে করলেও বিষয়টি নিয়ে আরো সতর্কতা অবলম্বন সহ সকলকে স্বাস্থ্য সচেতন হবার তাগিদ দিয়েছেন। এমনকি মাস্ক পরিধান সহ সকলকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি যথাযথভাবে অনুসরনেরও তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।