Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জয়পুরহাটে হেপাটাইটিস রোগের প্রাদুর্ভাবে হাঁসের মড়ক ব্যাংক লোন নিয়ে বিপাকে খামারি

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ পিএম

জয়পুরহাটে হেপাটাইটিস রোগের প্রাদুর্ভাবে খামারিদের হাঁসের মড়ক দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে জেলার বেশ কয়েক জন খামারীর প্রায় দশ হাজার হাঁস মারা গেছে। অনেক খামারি ব্যাংক থেকে লোন করে হাঁস পালন করতে গিয়ে পথে বসার উপক্রম।

জেলার বেশ কয়েকজন খামারী সাথে কথা বলে জানা যায় হেপাটাইসিস’ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে তাদের খামারে দশ হাজার হাঁস মারা গেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে অন্যন হাঁস খামারিরাও। খামারিদের দাবি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাঁস মারা যাওয়ায় তাদের প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। নিয়মিত ঔষধ ও পরিচর্চা করেও তেমন কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না

ভুক্তভোগী খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে হেপাটাইসিস’ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যেই মারা গেছে উপজেলার শাইলগুন গ্রামের খামারি রাজিয়া সুলতানার ১ হাজার ৭০০ হাঁস, হিমাইল গ্রামের খামারি সাইফুলের ১ হাজার ৪০০ হাঁস, মাত্রাই সোনারপাড়া গ্রামের খামারি রিমা আক্তার নিশির ১ হাজার ৬০০ হাঁস এবং একই গ্রামের খামারি শফিকুলের ২০০ হাঁস মারা গেছেন।

শাইলগুন গ্রামের খামারি রাজিয়া সুলতানা বলেন হাঁস পালনের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি। হাঁসের খামারে মড়ক দেখা দেয়ায় এক সপ্তাহে আমার ১ হাজার ৭০০ হাঁস মারা গেছে। প্রতি হাঁসের বাজার মূল্য ৩০০ টাকা ধরে আমার পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। লোন নিয়ে এখন আমার পথে বসার উপক্রম । ভুক্তভোগী অন্যান্য হাঁস খামারিদের বক্তব্যও অনুরূপ।

কালাই উপজেলার মাত্রাই গ্রামের খামারি মিনহাজুল বলেন প্রায় তিন বছর ধরে আমি খামারে বাণিজ্যিক ভাবে হাঁস পালন করে আসলেও এ পর্যন্ত কোন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আমার খামারে আসেনি। হাঁস রোগাক্রান্ত হলে তারা প্রাণি সম্পদ অফিসে যান। সেখানে ডাক্তাররা শুধু ব্যবস্থাপত্র দেন। কোন প্রকার ঔষধ পত্র দেন না।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তালেব বলেন । ওষুধের বরাদ্দ সীমিত, ছোট পরিসরে যারা হাঁস-মুরগি পালন করে তাদের বিনামূল্যে ওষুধ দিয়ে থাকি, খামারিদের দেওয়া যায় না। হাঁস খামারিদের হাঁসের চিকিৎসাদেন ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুজ্জামান। তিনি সব সবময় খামারিদের যোগাযোগ রাখেন



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ