পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে একই পরিবারের চার জনকে হত্যা মামলায় চার আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সহিদুল করিম এবং বিচারপতি মো.আখতারুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গতকাল সোমবার ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ জানান, রোববার হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ফোর মার্ডার মামলায় চার আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, সুমন ঢালী ওরফে ডাকু সুমন, জাকারিয়া হোসেন জনি, সুমন ওরফে সিএনজি সুমন এবং মো. নাসিরউদ্দিন। বশির আহমেদ জানান, অতিথি সেজে ঘটনার দিন খুন হওয়া সাজু আহমেদের বাসায় যায় আসামিরা। ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমপুর এলাকার ছয়তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে অটোরিকশা চালক সাজু আহমেদ (৩৫), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৬), ছেলে ইমরান (৫) ও মেয়ে সানজিদার (৩) হাত-পা-চোখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় সাজুর ভাই বশিরউদ্দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত সাজুসহ আসামিরা একই ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। আসামির মধ্যে সুমন ঢালী ও জনি তাদের স্ত্রীর সঙ্গে সাজুর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করতেন। এছাড়া সুমনের মোটরসাইকেল ও তার স্ত্রীর হাতের রুল চুরি যাওয়ার ঘটনায় সাজুকে সন্দেহ করতেন তিনি। এসব ক্ষোভ থেকে আসামিরা অতিথি সেজে সেদিন সাজুর বাসায় যায় এবং সেখানেই রাত্রিযাপন করে। রাতের কোনো একসময় আসামিরা ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সাজু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। পরে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে।
২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। একই বছরের ৬ জুন আদালত অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শেষে একইবছর ২৬ নভেম্বর রায় দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ। রায়ে এ চার আসামির মৃত্যুদন্ড দেন বিচারিক আদালত। বিধি অনুসারে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একই সঙ্গে আসামিদের আপিল ও জেল আপিলও আসে হাইকোর্টে। উভয় আবেদনের শুনানি শেষে আসামিদের আপিল ও জেল আপিল খারিজ করে দিয়ে ডেথ ফোরেন্স গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ এবং হেলালউদ্দিন মোল্লা। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।