পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেয়ার জন্যে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। স্বাস্থ্যকর্মী ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের মতো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে তাদের অনেকেই অনলাইনে নিবন্ধন করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিবন্ধনের জন্য অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে, নিবন্ধন করতে িি.িংঁৎড়শশযধ.মড়া.নফ এ যেতে হচ্ছে, যা গত ২৭ জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অ্যাপটি কয়েক দিনের মধ্যেই প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে। তারা আরও জানিয়েছেন, এই অ্যাপ তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগ। তারাই পরবর্তীতে বলতে পারবে যে কোন গ্রুপ থেকে কত জন নিবন্ধন করেছেন। প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্যে নিবন্ধন করতে যে প্রযুক্তিগত সমস্যা হচ্ছে তা সমাধানেও কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নিবন্ধন করতে গিয়ে টিকা কেন্দ্রের নাম খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
নিবন্ধনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ব্যবহৃত ঠিকানার ভিত্তিতে টিকাকেন্দ্রের তালিকা ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে উল্লেখ করে সেই কর্মকর্তা বলেছেন, যদি কেউ তাদের বর্তমান ঠিকানা দেয় তাহলে কেন্দ্রের তালিকা আসবে না। আমাদের ডাটাবেসে এনআইডি কার্ডধারীদের স্থায়ী ঠিকানা আছে। তিনি বলেন, আরও কয়েকটি ছোটখাটো প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি ঠিক করা হবে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমানে সরকারি হাসপাতাল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সাংবাদিক সংগঠন এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের মতো অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন তাদের অনলাইন নিবন্ধন চলছে। অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা ৫৫ বছরের কম বয়সী অনেকে বলেছেন যে, তারা ফরম পূরণ করার পর নিবন্ধন হয়নি।
এমআইএসের মেডিকেল অফিসার মো. তৌফিক হাসান শাওন বলেছেন, আমরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে তালিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তালিকা আপডেট করছি। তিনি বলেন, প্রত্যেক ভ্যাকসিন গ্রহীতা তাদের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। ডাটাবেসে এনআইডি নম্বর অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তাদের অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে।
গত ১৩ জানুয়ারি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের তালিকা ও তাদের এনআইডি নম্বর পাঠাতে সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমআইএস অনেক জেলা থেকে এখনও তালিকা পাচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম বলেছেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মোবাইল অ্যাপটি সবই ব্যবহার করতে পারবেন। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করা হয়েছে এবং সেটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।
গত সপ্তাহে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিনের প্রথম ধাপে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দেড় কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে প্রথম মাসে ৬০ লাখ এবং তারপরের মাসে আরও ৫০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঢাকা শহরে ৪৯টি ও ঢাকার বাইরে ৬১৩টি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।