রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অর্ধ শতাধিক অবৈধ ‘স’ মিলে চিড়াই হচ্ছে শত শত একর সামাজিক বনায়নের টন টন গাছ। উখিয়া সদরের মাছকারিয়া ও ফলিয়াপাড়া এলাকায় ৬টি অবৈধ ‘স’ মিল রয়েছে।
কয়েকজন গ্রামবাসীর ভাষ্য মতে, ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান হয়নি। বনবিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় স্থাপিত ‘স’ মিলগুলো চোরাই গাছ চিরাই ও পাচারের ডিপুতে পরিণত হয়েছে।
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর মতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এই অর্ধ শতাধিক ‘স’ মিলের কারণে সামাজিক বনায়ন আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
শুধু তাই নয় পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি সরকার এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স বিহীন ‘স’ মিলগুলো উচ্ছেদ করা এ অঞ্চলের মানুষের দাবি।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে ‘স’ মিল উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নে ১৫টি, রত্মা পালং ইউনিয়ন ৭টি, জালিয়া পালং ইউনিয়নে ৬টি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নে ৫টি ও পালংখালী ইউনিয়নের ১৬টির মতো ‘স’ মিল বসানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব ‘স’ মিলের বৈধ কাগজপত্র কিংবা কোন প্রকার লাইসেন্স নেই। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সিন্ডিকেট গঠন করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এসব ‘স’ মিল বসানো হয়েছে এবং চলে আসছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, রাজা পালং ইউনিয়নের মাছ কারিয়া ও ফলিয়া পাড়া এলাকায় স্থাপিত অবৈধ ৬ টি ‘স’ মিলে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তন করে চিরাই করছে পাচারকারীরা। এসব চিরাইকরা কাঠ ডাম্পার ও জীপ যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরবরাহ করা হয়।
‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ জানান, বিগত ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বা বন বিভাগের কোন অভিযান অথবা উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চোখে পড়েনি। বছরের পর বছর প্রকাশ্যে এসব ‘স’ মিলে সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তনসহ চিরাই করা হলেও সংশ্লিষ্টরা রয়েছে অধরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উখিয়া বনবিভাগের কতিপয় বনকর্মী প্রতিটি ‘স’ মিল থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক মাসোহারা আদায় করে থাকে। কুতুপালং এলাকার সামাজিক বনায়নের স্বত্ত্বাধিকারী ছিদ্দিকুর রহমান অভিযোগের সুরে বলেন, এসব ‘স’ মিল কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট। এরা আশপাশে চোরাই কাঠ মজুদ করে অঘোষিত ডিপু বানিয়েছে। সেই ডিপু থেকে পাচারকারীরা বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ কাঠ সরবরাহ করে থাকে।
এদিকে সামাজিক বনায়ন রক্ষায় স্থানীয় নাগরিক সমাজ অবৈধ ‘স’ মিল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করার জন্য বারবার উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার নিকট শরণাপন্ন হলেও তিনি কোন উদ্যোগ বা পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, ‘স’ মিল উচ্ছেদের বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। ইতোমধ্যে রত্মাপালং এলাকায় দু’টি ‘স’ মিল উচ্ছেদসহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ ‘স’ মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।