রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শরণখোলায় ১৭ মামলার আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাইফুল মোল্লার পরিবারের দেয়া মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং নির্যাতিত শত শত নারী-পুরুষ প্লাকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
এসময় ভ‚ক্তভোগীরা বলেন, জনতার হাতে চোখ হারিয়েও থেমে নেই সন্ত্রাসী সাইফুল। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা চোখ নষ্ট করেছে দিয়েছে তার। অথচ ১৭ মামলা মাথায় নিয়েও মিডিয়ার সামনে এখন সে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তার এই পরিণতির জন্য নিরীহ দশজন মানুষের নামে শরণখোলা থানায় শনিবার রাতে সাইফুলের পিতা নুরু মোল্লা বাদী হয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নির্যাতিত জনতার এই কর্মসূচিতে একাত্বতা প্রকাশ করে প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসী, ডাকাত সাইফুল ও তার পরিবারের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানান। তারা পেছনের গডফাদারকে খুঁজে বের করার দাবি জানান। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম সাইফুল ইসলাম খোকন, শ্রমিকলীগের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন খোকন, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, রাজৈর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আ. রহিম হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসাদসহ নির্যাতিত নারী-পুরুষ।
শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানান, শনিবার রাতে সাইফুলের পিতা একটি এজাহার নিয়ে আসলে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এখন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারী রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মঠেরপাড় গ্রামের মাঠে ১৭ মামলার আসামি সন্ত্রাসী সাইফুলের পা ভেঙে দু’চোখ চোখ নষ্ট করে ফেলে রেখে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।