Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

তিন বাড়িতে ৩৩ মৌচাক

চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

পাবনার চাটমোহরের একটি গ্রামের ৩টি বাড়িতে ৩০টি মৌচাক বাসা বেঁধেছে। মূলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে অবস্থিত তিনটি বাড়ি এখন যেন মৌচাকের মোলায় পরিণত হয়েছে। একটি বাড়ির দরজা-জানালার সঙ্গে, ছাদের কার্নিশজুড়ে, একটি বাড়ির চালের সাথে, বাঁশের সাথে আর অপর একটি বাড়ির দরজা, জানালা আর আঙিনায় ছোট আম গাছসহ বিভিন্ন গাছে ঝুলছে ছোট বড় ৩৩টি মৌচাক। ঐ গ্রামের ইন্তাজ আলীর পরিত্যক্ত পাকা বাড়ি। অপর দুইটি আ. মজিদ ও জাকির হোসেনের বাড়ির এসব মৌচাকের লাখো মৌমাছির সঙ্গেই বসবাস করছেন বাড়ির লোকজন। শাহপুর গ্রামের তিনটি বাড়িতে এ দৃশ্য দেখার জন্য মানুষ ভীড় করছেন। শাহপুর গ্রামে গিয়ে ৩টি বাড়ির চারদিক ঘুরে দেখা গেল, কেবল মৌচাক আর মৌচাক। বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মৌমাছিরা কোনো ক্ষতি করছে না। যদিও একটু সতর্ক থাকতে হয় বলে বাড়ির লোকজনকে। বাড়ির মালিক জাকির হোসেন জানান, এর আগে বাড়িটিতে প্রতি বছর দু-একটা মৌচাক বসতো। তবে এবার এতো মৌচাক বসবে তা কল্পনাও করেননি। পাশের ইন্তাজ আলীর পরিত্যক্ত বাড়িটিই মূলত মৌমাছির ঘাটি। সেখান থেকেই আমাদের পাশের দুই বাড়িতে। তিনি আরো জানান, মৌমাছিগুলো যেন তাদের পরিবারেরই সদস্য হয়ে গেছে।
মূলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল জানান, বাড়ি তিনটি সাধারণ বাড়ি। মৌচাকগুলো এবার তাদের বাড়ির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
আটঘরিয়ার আ. রশিদ বলেন, ‘এক বাড়িতে এতগুলো মৌচাকের খবর পেয়ে দেখতে এসেছি, আমি এতো মৌচাক এক সঙ্গে এই প্রথম দেখলাম, মুগ্ধ হয়েছি, বাজারের মধু ভেজালে ভরা; তাই তিনি খাঁটি মধু সংগ্রহ করবেন এখানে থেকে। আঃ মজিদের স্ত্রী জানালেন, প্রতি কেজি মধু ৬শ’ টাকায় তারা বিক্রি করছেন। প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুস ছাত্তার (৭০) জানান, গ্রামে সেই আগের মতো আর মৌমাছির চাক বসে না। তাই খাঁটি মধুও পাওয়া যায় না। বহু বছর পর এত মৌচাক এক বাড়িতে দেখলাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে সরিষা মৌসুমে মৌচাষিরা ভিড় করে। তারা খেতে ধারে মৌবাক্স স্থাপন করেন। এবারও প্রচুর মৌবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এ অঞ্চলে তিল, সরিষা, তিসির মতো মধুযুক্ত ফুল সমৃদ্ধ ফসল থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়। বাড়ি বা বাড়ির পাশের গাছে মৌচাক থাকে। কিন্তু যদি এতো পরিমাণ মৌচাক এক সাথে থাকে, তাহলে সত্যিই বিস্ময়কর। এলাকাটা সরিষা চাষ প্রধান এলাকা হওয়ায় মৌমাছিরা এখানে ভিড় করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ