বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকি বলেন, ‘আজ আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের পরীক্ষার জন্য রাস্তায় নামতে হয়েছে। শিক্ষকরা বলেন তারা আমাদের পিতৃতুল্য। কিন্তু তাদের কাজে কর্মে তেমন কিছু পরিলক্ষিত হয় না। তারা আমাদের নিয়ে ভাবেন না। যদি ভাবতেন তাহলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো রাবি প্রশাসন আমাদের শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষাগুলো নিতেন। আপনাদের নিয়োগ বাণিজ্য তো থেমে নেই, সিনেট অধিবেশন থেমে নেই, কার্যবিধি থেমে নেই তাহলে আমাদের পরীক্ষা কেন থেমে আছে? আপনাদের যে সংকীর্ণতা তা পরিহার করে আমাদের কথা ভাবুন। আমরা বাঁচলে রাষ্ট্র বাঁচবে, আমরা বাঁচলে আগামী ভবিষ্যত বাঁচবে।
এ সময় তিনি প্রশাসনের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’
পপুলেশন সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, সরকারি হিসেবে কওমী মাদ্রাসায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা খোলার ৫-৬ মাস পার হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্তের ঘটনা আমারা দেখিনি। কওমী মাদ্রাসাগুলোতে যেখানে শিক্ষার্থীরা একই রুমে গাদাগাদি করে থাকছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রতি রুমে ২ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী থাকেন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল খুলে দিতে সমস্যা কোথায়?
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ আহমেদ বলেন, সরকার বলছে তোমরা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়। প্রশাসন তোমাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। আবার প্রশাসন বলছে আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছি। এইযে সরকার ও প্রশাসনের লোফালুফি খেলা- সরকার ছুড়ে দিচ্ছে প্রশাসনের দিকে, প্রশাসন ছুড়ে দিচ্ছে সরকারের দিকে। মাঝখানে পড়ে আমাদের হতাশা বাড়ছে, জীবনের আশার আলো স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। দিনশেষে এর দায়ভার কে নিবে?
মানববন্ধনে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মহিউদ্দিন মানিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফিসারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শ্যামল অধিকারী, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম দুখু, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ইবরাহিম খলিল, ফকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী আভা প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।