পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কোভিড-১৯-এর মধ্যে যারা নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন তাদেরকেও সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে মাসিক অর্থ সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো গেলে দারিদ্র্যের হার দ্রুত কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কোভিডের কারণে যারা নতুন নিষ্ঠুরময় দারিদ্র্যতায় শিকার হয়েছেন তাদের বাড়তি দেওয়ার জন্য নির্দেশনা এসেছে। টাকা বাড়ালে কাজের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হতে পারে, এ ক্ষেত্রে আমি একমত। তবুও ৭০০-৫০০ টাকা এটা খুবই কম, এটা যদি হাজার বাড়ানো যেত তাহলে ভালো হতো।
গতকাল কোভিড-১৯ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও স্বাস্থ্য অধিকারবিষয়ক এক অনলাইন সেমিনারে এসব বলেন মন্ত্রী।
কোভিড-১৯-এ ক্ষতবিক্ষত সামাজিক অবস্থার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থা। ভঙ্গুরতা বিরাজমান বিশ্বব্যাপী। মানুষের আয় যেমন কমেছে, কর্মসংস্থান হারিয়ে অনেকেই হয়েছেন নিঃস্ব, হতদরিদ্র। বিশ্বব্যাপী এই নতুন দুর্যোগে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিপেশার মানুষ। বিশ্ব দুর্যোগে বাংলাদেশের সামাজিক কর্মসূচি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেমন ছিল এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা কেমন হওয়া প্রয়োজন, তা নিয়ে সকালে যৌথ উদ্যোগে এক ওয়েবিনারে সেমিনারের আয়োজন করে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ, ডিজেএফবি ও এসএসডি। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ।
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, চলমান দুর্যোগে উৎপাদন, রফতানি ও কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় সরকারের জন্য দারিদ্র্য নতুন করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া কোভিডের মধ্যে বিধবা হয়ে যাওয়াদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে অভাব মেটানো সম্ভব হবে না। নাজনীন আহমেদ বলেন, কোভিডের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়েছে। চলমান দুর্যোগে উৎপাদন, রফতানি ও কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় সরকারের জন্য দারিদ্র নতুন করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া কোভিডের মধ্যে বিধবা হয়ে যাওয়াদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে অভাব মেটানো সম্ভব হবে না। এ ক্ষেত্রে তাদের সরকারের বিভিন্ন কর্মসহায়ক কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইন প্রয়োগ করতে হবে। এ ছাড়া রিসোর্স থাকার পাশাপাশি সুশাসনও জরুরি।
দারিদ্র্য মোকাবিলায় করে আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু কোভিডের মধ্যে তা জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে যা সরকারের জন্য নতুন করে চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সেমিনারে বক্তারা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সরকারের দায়বদ্ধতা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট দফতরের দক্ষতা উন্নয়নে আরো জোর দেয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি চিকিৎসাব্যবস্থায় সুরক্ষাসামগ্রীর পাশাপাশি সেবায় ডিজিটালাইজেশন আরো উন্নীত করারও দাবি জানান। সেমিনারে অংশ নেন বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।