জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে দুই ঘন্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন সংগঠনটির পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন তারা। ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা এই তথ্য জানিয়েছেন।

আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা না হলে ওই দিন বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন পদপ্রত্যাশীরা।
অনশনে উপস্থিত ছিলেন- পদপ্রত্যাশী নেতা শেখ আল ফয়সাল, মো: ঝলক মিয়া, মুতাছিম বিল্লাহ, মো: ইবরাহিম খলিল ফিরোজ, শাহ আলম, জাকিউল ইসলাম শাহিন, সাইদ আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, ঢাবির এম এম মুসা, ওয়াসিম খান মুক্ত, গাজী মোহাম্মদ হারুনুজ্জামান, রোকনুজ্জামান, শাহরিয়ার ইমন, সাজিদ হাসান, মহসীন ভূইয়া, শরিফুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহাউদ্দীন সোহেল, আতাউর রহমান বুলেট, মহিউদ্দিন ইকবাল।

ঢাকা কলেজের আলী জাহ আহমেদ মিজান, আশিক আহমেদ, মাহমুদুল হাসান আল মারজান, ইমাম উদ্দিন, তীতুমীর কলেজের গাজী তোহিদুর রহমান সুমন, মামুন খান, রেজওয়ানুল হক সবুজ, হাফিজুল্লাহ হিরা, রুহুল আমীন, জহিরুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেএম নাজমিল হক, কবি নজরুল কলেজের মিলন হাওলাদারসহ ৬০ থেকে ৭০ জন নেতাকর্মী।

দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে ফজলুর রহমান খোকন সভাপতি ও ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর তিনমাস পর ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ছাত্রদলের ৬০ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন সংগঠনটির পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা।
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এই দাবিতে গত ২১ জানুয়ারি ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। স্মারকলিপিতে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের রাজপথের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয় নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে পদপ্রত্যাশীদের স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে এরপর ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবকের সাথে ভার্চুয়ালি আলোচনা করেন সংগঠনের শীর্ষ পাঁচ নেতা। সেখানে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জেলার পদপর্যাদাসম্পন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মহানগর ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পরই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। কারণ, এসব ইউনিট কমিটি থেকে বিভিন্ন কারণে যারা বাদ পড়বেন, যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের অনেককে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এসব ইউনিটের খসড়া কমিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নিকট জমা দিয়েছেন। কমিটিগুলো এখন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব ইউনিট কমিটি অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানা গেছে।