পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিভৃত পল্লীর একটি গ্রাম বালেন্দা। বগুড়ার জেলার শেরপুর উপজেলার ওই গ্রামটিতে ঢুকতেই চোখে পড়ে দিগন্ত বিস্তীর্ণ মাঠ। আর সেই মাঠেই শুভ সূচনা হলো বিশে^র সর্ববৃহৎ শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি তৈরির কাজ।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের সহযোগিতায় এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। যা গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে। গতকাল শুক্রবার আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধান অতিথি থেকে উচ্চ ফলনশীল দুই ধরণের ধানের চারা রোপনের মাধ্যমে এই কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
চীন থেকে নিয়ে আসা ধানের এ জাতের নাম জনকরাজ। এই ধানের দুই রকমের ধান গাছ ব্যবহার করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি তৈরি করতে। একটির রং সোনালি, আরেকটির বেগুনি। মোট ১৫ জন আর্কিটেক্ট, ১৮ জন প্রোডাকশন ম্যানেজার এবং স্কাউটের সদস্যরা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত। মোট দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় নভেম্বরে। অর্থাৎ জমিতে বীজ ফেলা হয় নভেম্বরে, এখন ছোট সেই ধানের চারা জমিতে রোপন করা হেেয়ছে।
শস্য চিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জাতির পিতা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। কৃষককে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। তাই খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ বাংলাদেশের প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। তিনি বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ বাংলাদেশের প্রতীকের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলতেন শস্যচিত্রের মাধ্যমে তাদের উচিত জবাব দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সমীর চন্দ্র, সদস্য সচিব কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, বগুড়া জেলা আ.লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, শেরপুর-ধুনট আসনের এমপি হাবিবর রহমান, এমপি তানভীর শাকিল জয়সহ আ.লীগের কেন্দ্রীয়, জেলা-উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি তৈরি করার জন্য দুই ধরনের ধান বেছে নেয়া হয়েছে নীল ও সোনালি। এই নিভৃত পল্লীর বালেন্দা গ্রামের চল্লিশ একক জমির মাঠ প্রস্তুত করতে একশ’ বিএনসিসি সদস্যের দল অংশ নেন। এই কজের মাধ্যমে আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে উদ্বোধন করা হবে। বিশে^র সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হবে এটি। এই শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর আয়তন হবে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রের দৈর্ঘ্য ৪শ’ মিটার এবং প্রস্থ হবে ৩শ’ মিটার। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো গিনেজ বুকে স্থান পেয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি কৃষকরাও নতুনভাবে উজ্জীবিত হবে বলে জানান তিনি।
ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের এই প্রকল্পের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলতে বিগত কয়েকমাস আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের মালেন্দা গ্রামের একত্রে চল্লিশ একক অর্থাৎ ১২০ বিঘা জমি কৃষকদের কাছ থেকে লিজ নেয়া হয়। এরপর বিদেশ থেকে আমদানি করা দুই ধরনের উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছে।
বিশে^র এই সর্ববৃহৎ শস্যেচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সৃষ্টির জন্য এই বগুড়া জেলার মাটিকে বেছে নেওয়ায় গর্বিত বলে মন্তব্য করেন জেলা আ.লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। তিনি বলেন, এই ধরণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এই অঞ্চলে বাস্তবায়িত হওয়ায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। এই উদ্যোগ বগুড়ার জন্য স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।