পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, টিকা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই আসল চ্যালেঞ্জ। এগুলো সমাজে ঝুঁকি তৈরি করেছে। তাই যথাযথ তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ভ‚মিকা রাখতে পারে। আমাদের সবাইকে সম্মিলিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল নিজ বাসভবনে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) নেতাদের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা বিষয়ে বলতে গিয়ে ডিকসন বলেন, একটি গুরুত্বপ‚র্ণ বিষয় হিসেবে তারা সত্যিকার অর্থে এতে জোর দিচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরিয়ে নিতে এবং এটা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, চলতি বছরটি বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের জন্য বড় এক বছর। বাংলাদেশের ‘অসাধারণ সাফল্য’ উদযাপনে বছরজুড়ে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় এক বছর।
হাইকমিশনার বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা কয়েকটি অনুষ্ঠান ভার্চ্যুয়ালি এবং কিছু অনুষ্ঠান ব্যক্তিগত উপস্থিতির মাধ্যমে পালন করবেন।
দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সংলাপ, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে আরো জোর দেয়া, শিক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং জাতিসঙ্ঘের আসন্ন জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে ২০২১ সালের নজর দেবে ব্রিটিশ হাইকমিশন। তিনি বলেন, জলবায়ু ইস্যুটি বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য এবং পুরো বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্য চলতি বছরের আগামী ১-১২ নভেম্বর গøাসগোতে ২৬তম জাতিসঙ্ঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৬) আয়োজন করবে ।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, জলবায়ুর বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সিভিএফে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
সাক্ষাতে অন্যদের মধ্যে ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।