Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রির অভিযোগ

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উপকারভোগীদের অগোচরে সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পদুয়া রেঞ্জের অধীনে বন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ডলু বন বিটের ফারাঙ্গা মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান উপকারভোগীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাছ কাটার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও উপকারভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, উপজেলার চুনতির চাম্বি লেকের দক্ষিণে ফারাঙ্গা মৌজায় ২০১৫-১৬ সালে ২০০ একর সামাজিক বনায়ন সৃজন করা হয়। এর মধ্যে ২০০ জন উপকারভোগী রয়েছেন। গত সপ্তাহ ধরে স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দুর্বৃত্তরা সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বনায়নের প্রায় গাছ কেটে নিয়ে গেছে বলে উপকারভোগীরা দাবি করেছেন। চুনতি জয়নগর, পানত্রিশা, নারিশ্চা ও ফারেঙ্গা মনদুলার চরের কয়েজন বন বিভাগের কাছ থেকে সামাজিক বনায়নের ওই গাছ কিনেছেন বলে জানান উপকারভোগীরা।
সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী মিঠন কর্মকার জানান, আমি নিজে ওই সামাজিক বনায়নে গিয়েছি। সেখানে বড় বড় আকাশমনি ও গর্জন গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ডলু বিট কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে তিনি জানান। উপকারভোগী আবুল কালাম, মোহাম্মদ ওসমান ও নুর হোসেন ক্ষোভের সাথে জানান, উপকারভোগীদের অগোচরে বন কর্মকর্তারা গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ২০-৩০টি গাড়ি দিয়ে গাছ নিয়ে যাচ্ছে বলে তারা জানান।
পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, সামাজিক বনায়নের ওই এলাকা চুনতি ইউনিয়নে হলেও উপকারভোগী প্রায় সব পুটিবিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা। সামাজিক বনায়নের গাছ এভাবে কেটে বিক্রি করাটা দুঃখজনক।
ডলু বিট কর্মকর্তা মুনতাছির রহমান জানান, গাছ বিক্রির অভিযোগ সত্য নয়। দুর্বৃত্তরা লাল জাতের কিছু গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
গাছ বিক্রির কথা অস্বীকার করে পদুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সরেজমিনে ওই বাগানে পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে শীঘ্রই মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ