বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিভক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে স্থবিরতা কাটছেনা। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান পন্থী ও আর এক ভাগ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীপন্থী। তবে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে শামীম ওসমান নেই। মেয়র আইভী এই কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এবং সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল শামীম ওসমানের অনুসারী। তাদের সঙ্গে আরো অনেকে রয়েছেন। বিপরিতে মেয়র আইভীর নেতৃত্বে রয়েছেন সহসভাপতি আবদুল কাদির, আরজু রহমান ভুইয়া, সাবেক পিপি আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান সহ আরো অনেকে। জেলা আওয়ামী লীগের এই কমিটি শুরু থেকেই পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। প্রথম দিকে সভাপতি আবদুল হাই দুই গ্রুপের মাঝে সমন্বয় করার চেষ্ঠা করলেও পরে তিনি পূরোপূরি শামীম ওসমান বলয়ে চলে যান।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি নির্বাচনী এলাকার সাতটি থানার মাঝে প্রায় সব থানায় কম বেশি শামীম ওসমানের প্রভাব রয়েছে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগে শামীম ওসমানের একচ্ছত্র প্রভাব বিরাজ করছে। এই থানায় মেয়র আইভীর তেমন কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সদর এবং আড়াইহাজার, সোনারগাঁ ও রুপগঞ্জ থানায় মেয়র আইভীরও ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কারন আড়াইহাজার ও রুপগঞ্জের এমপি এবং সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপির সাথে মেয়র আইভীর বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ফলে ফতুল্লা ছাড়া বাকী সব জায়গায়ই পৃথক পৃথক ভাবে পালন করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি। তাই এই জেলায় আওয়ামী লীগের ভেতর আর কোনো ঐক্যের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। ফলে সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল অবস্থানেই রয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ থেকে যাচ্ছে সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল অবস্থানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।