পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1735064821](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও নাস্তিক নির্মূল কমিটি প্রতিহত করার দাবি জানিয়েছেন বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেছেন, আমাদের কিছু সংগঠন আছে অনেকে ভুঁইফোড়। একটি সংগঠন আছে নাস্তিক নির্মূল কমিটি আর একটি সংগঠন হচ্ছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এই নির্মূল করার ক্ষমতা এদের কে দিয়েছে। তুমি কে লোককে নির্মূল করার? আমাদের দেশে কোর্ট-কাচারী আছে না?
অনেক বিচার করেছে এ সরকার। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে- ঘাতকদের বিচার হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। তুমি কেন নির্মূল করতে চাও, তোমরা নির্মূল করার কারা। তোমরা নিজেরা পুলিশ পাহারায় থেকে ধান্দাবাজি করছ, এদের প্রতিহত করা দরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব এ সব সংগঠনগুলো বন্ধ করুন, যেন কেউ নির্মূল করতে না পারে। কিসের নির্মূল কমিটি। এটা সমাজের একটা কালচার হয়ে গেছে।
গতকাল রোববার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, উন্নয়নের প্রথম ভিত রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন পরাধীন দেশে কখনো উন্নয়ন করা সম্ভব না। তাই তিনি সর্বপ্রথম বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। এরশাদ সাহেবের আমলে গ্রাম বাংলায় অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে সর্বত্র। দুঃখ লাগে সরকারের সর্বক্ষেত্রে সাফল্য কৃতিত্বের পেছনে জাতীয় পার্টির একটা ভূমিকা আছে; কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কোনোদিন একবারও নাম উচ্চারণ করে না। আমরা তো হাজার বলি এই সরকারের এ কাজ হয়েছে। আমাদের তো কার্পণ্য নেই তাদের কেন এতো কার্পণ্য রাজনীতিতে।
তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনে যদি জাতীয় পার্টি না আসত নির্বাচন হত না, নির্বাচন না হলে সরকার হতো না। সরকার না হলে উন্নয়ন হতো না, সংবিধান থাকত না গণতন্ত্র থাকত না। সব তছনছ হয়ে যেত, ধ্বংস হয়ে যেত। জাতীয় পার্টি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই নির্বাচনে এসেছিল। জাতীয় পার্টি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে উন্নয়নে বিশ্বাস করে।
জাতীয় পার্টির এমপিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এই সংসদ অত্যন্ত প্রাণবন্ত সংসদ। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করেছে। সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেছি এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমাদের কারো কারো বক্তব্যে বোঝা যায় না, আমরা কোন দলের সংসদ সদস্য। কোনো কোনো সংসদ সদস্য একবারও জাতীয় পার্টির নাম উচ্চারণ করেনি। আমাদের নেতা এইচএম এরশাদ সাহেবের নাম উচ্চারণ করেনি। অথচ তারা আমাদের দলের সংসদ সদস্য। আমাদের মনোনয়ন নিয়ে সংসদে আছেন।
দেশের অর্থনৈতিক খাতে লুটপাট হচ্ছে অভিযোগ করে ফিরোজ রশিদ বলেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলো একদম দুর্বল এবং নড়বড়ে এবং দুর্নীতি নির্ভর করেছে। ব্যাংকিং সেক্টর হাজার হাজার কোটি নিয়ে মানুষ বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এই ব্যাংকের পরিচালক ওই ব্যাংক থেকে নেয় ওই ব্যাংকের পরিচালক এই ব্যাংক থেকে নেয়। যখন একটি দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে আত্মীয় স্বজনের অভাব হয় না। শালা সমন্ধি তার শালা তার শ্বশুর বাড়ি এরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য। লোন পেয়েও তো যাচ্ছে। এই টাকা কোথায় যায় মনিটরিং হচ্ছে না।
পদ্মা ব্রিজ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, পদ্মা ব্রিজের নিচ দিয়ে আসলাম। ওখানে আসার সাথে সাথে আমাদের ফেরিটা একটু সেøা করে দেয়। সেখানে বড় একটা সাইনবোর্ড আছে। ঘাটে ওঠার পরেই আশা করে থাকি পদ্মা ব্রিজের কাছে কখন যাব। এখন পর্যন্ত ওপরে ওঠা যায় না। অন্তত ৪০০-৫০০ শ্রমিক কাজ করছে উপরে। ওঠা যায় না। গাড়ি উঠেছে উপরে আমরা নিচ থেকে তাকিয়ে দেখলাম। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখলাম এটা কি সম্ভব? আমাদের দেশের টাকায়। প্রত্যেক লোক আশা করছি পদ্মা ব্রিজ হলে জীবন মান উন্নত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।