পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিশ লাখ নেতাকর্মীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে জাতীয় সংসদে। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠ, সমস্ত বিষ খেয়ে হজম করতে পারেন। উনি ওই সময়ের গুপ্তকারী জাসদকে সংসদে আনছেন। এখন যারা গুপ্তহত্যা করছে আমার মনে হয় ভবিষ্যতে তাদেরও না জানি আবার সংসদে আনেন।
সোমবার সকালে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন কাজী ফিরোজ রশীদ। এসময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জাসদ যদি তাদের গণবাহিনী দিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা না করত তাহলে বঙ্গবন্ধুর মতো জাতীয় নেতাকে আমাদের হারাতে হতো না।
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আলোচনার শুরুতে তিনি বলেন, আমাদের বিরোধী দলের এমপিদের সংখ্যা অত্যন্ত কম, মাত্র ৪০ জন। কিন্তু টিভিতে আমাদের মুখটা দেখানো হয় না। এর কারণ হচ্ছে এই সংসদে যিনি ইনফরমেশন মিনিস্টার তিনি জাসদ করেন। প্রবলেমটা ওখানে না, প্রবলেমটা ছিল আমরা ছাত্রলীগ করেছি, উনি জাসদ করেছেন।
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, একসঙ্গে যুদ্ধ করলাম, একই বিছানা থেকে উঠে উনি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলেন। অস্ত্র দিয়ে আমাদের গুনে গুনে ২০ লাখ লোককে হত্যা করলেন। এই যে হত্যা করল, আজকে যে দুর্দিন, দুরবস্থা সেদিন জাসদ যদি গণবাহিনী করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা না করত, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা না করত তাহলে দেশের ক্ষতি হতো না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো জাতীয় নেতাকে আমরা হারাতাম না। ওই যে হত্যাকা- হলো, সারা দুনিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলো। আর সেই সুযোগটা নিল কুচক্রীমহল। সে জন্যই আজ পর্যন্ত জাতি হিসেবে আমরা ভুগছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গতকাল যথার্থই বলেছেন, এই বিষয়টা জাসদ করেছে।
একসময় ছাত্রলীগ করা কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জাসদ যদি তাদের গণবাহিনী দিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা না করত তাহলে বঙ্গবন্ধুর মত জাতীয় নেতাকে আমদের হারাতে হতো না।
এ সময় জাসদের একাংশের নেতা মঈনুদ্দীন খান বাদল প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে কাজী ফিরোজ রশীদ স্পিকারের প্রটেকশন চান।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, মাননীয় সদস্য আপনি টিভিতে মুখ দেখানোর কথা বলতে গিয়ে কিছু স্পর্শকাতর কথা বলেছেন সেগুলো প্রসিডিউর থেকে বাদ দেয়া হলো।
এরপর জাসদ নেতা মইনুদ্দীন খান বাদল কথা বলার সুযোগ চাইলে ডেপুটি স্পিকার বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, বাজেট আলোচনা চলার সময় পয়েন্ট অব অর্ডার দেবো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।