Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাগুরার শালিখা উপজেলার ফটকি নদীসহ সর্বত্র ফেলা হচ্ছে আবর্জনা দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৪০ পিএম

মাগুরার শালিখায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। একই সাথে ফটকী নদী এবং নদীর পাড়েও ফেলা হচ্ছে এ সব আবর্জনা। এতে নদীর যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ এবং দূষণ বাড়ছে, ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-ব্যাধি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদরে আড়পাড়ায় বাজারের মাংসপট্টি, পোলট্রি মুরগি বিক্রির দোকান এবং কাঁচা তরকারির দোকান থেকে প্রচুর পরিমাণের আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলে রাখছে। প্রতিদিন খোলা জায়গায় জবাই করা গরু-ছাগল, মুরগির রক্ত, বিষ্ঠা, পঁচা মাছ এবং তরকারি আবর্জনাও ফেলে রাখা হয়। যে কারণে প্রচন্ড দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলছে পরিছন্নকর্মীসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ময়লা বর্জ্য ফেলায় আবর্জনার এলাকায় পরিণত হয়েছে আড়পাড়া। গ্রামের বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য সংগ্রহ করে তা নদীর পাড়ে ও নদীতে ফেলা হচ্ছে। শালিখা উপজেলা এলাকায় লক্ষাধিক মানুষের বাস। পৌর এলাকা হলেও পৌরসভার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে ফটকী নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফেলা হচ্ছে এসব ময়লা বর্জ্য। সেখানে তৈরি হচ্ছে আবর্জনার স্তুপ। এতে করে দূষিত হচ্ছে এলাকা, ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ প্রকৃতি। এছাড়াও ফটকী ও চিত্রা নদীর পাড়ে বর্জ্য ফেলে নদীকে বানানো হচ্ছে ময়লার ভাগাড়।
ফটকী বাচাঁও, নদী বাচাঁও আন্দোলনের নেতা ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, বাজারে বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ মানুষ অসচেতনভাবেই যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। পরবর্তীতে সেই আবর্জনা সংগ্রহ করে ফটকী ও চিত্রা নদীর পাড় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফেলছে। আড়পাড়া বাজারের হাট মালিক মো. শহিদুজ্জামান শহিদ জানান, পশুর হাটের স্থানও ভরে আছে আবর্জনায়। ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য নিষ্কাশনের একটা নির্ধারিত স্থান না থাকার কারণে বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে। আড়পাড়া গ্রামের মিন্টু বিশ্বাস জানান, বাজারের অধিকাংশ ময়লা আবর্জনা নিয়ে এসে এই খোলা জায়গায় ফেলা হয়। এখান থেকেই সৃষ্টি হয় বিকট দুর্গন্ধ। ভোগান্তিতে পড়ে যাতায়াতকারীরা। প্রায় সময়ই দেখা যায় যাত্রীরা নাকে মুখে রুমাল ব্যবহার করে ওই সড়ক পার হচ্ছে। আড়পাড়া গ্রামের তুহিন মুন্সী জানান, ফটকী নদীতে যে পরিমাণ ময়লা আবর্জনা ফেলছে,তাতে আগামী ২০ বছরের মধ্যে এটা নদী থাকবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মো. বাতেন বলেন, বিষয়টি বাজার কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এরপরও যদি ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলা হয়, তাহলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ