রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির ছোট ভাই মো. জামাল মুন্সি (৪৮) নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার এ ঘটনা ঘটে। এতে চরচারতলা মুন্সি বাড়ির আলহাজ ফজলুল হক মুন্সির ছেলে ও আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সির ছোট ভাই জামাল মুন্সি নিহত হয়েছে ।
জানা যায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে চরচারতলা ঈদগাহ মাঠের পাশে আবুল মিয়ার দোকানে হানিফ মুন্সির ভাই মুমিন মুন্সি ও একই এলাকার লতিফবাড়ীর ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাদ্দাম মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটির হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি রাতেই বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়ে সবাইকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। এরই জের ধরে লতিফ বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাত পৌনে ১টার দিকে পরিকল্পিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায় বলে মুন্সিবাড়ীর লোকজন। হামলাকারীরা বাড়ির প্রধান ফটকে হামলা চালালে হানিফ মুন্সির ছোট ভাই জামাল মুন্সিসহ আরও কয়েকজন এতে বাধা দেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন জামাল মুন্সিকে বল্লম দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় আহত হোন। পরে আশঙ্কাজনকভাবে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিল্যাব হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে নিহত জামাল মুন্সির ভাই ও আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি জানান, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আবু শহিদ, সেলিম, আবদু, জিয়া খন্দকার, শফিক, দিলুর নেতৃত্বে তাদের লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার ভাই জামাল মুন্সি আগে বের হলে তাকেই হত্যা করে হামলাকারীরা। আমি এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে চর চারতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকার জানান, রাত পৌনে ১টার দিকে আমি শুনতে পায় যে চর চারতলা গ্রামের লতিবাড়ি ও মুন্সিবাড়ির লোকজন মধ্যে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ চলছে। এই খবর পেয়ে আমি থানা পুলিশকে জানায়। একটি মহল রাজনীতিভাবে আমাকে হয়রানি করার জন্য উদ্দেশ্যভাবে জড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে।
আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. জাবেদ মাহমুদ জানান, নিহত জামাল মুন্সির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও জামাল মুন্সির ওপর হামলাকারী সন্দেহে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করার জন্য বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।