পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশকে করোনা প্রতিরোধী টিকা উপহার দিতে চায় চীনা কোম্পানি আনুই জিফেই। প্রতিষ্ঠানটি এখানে টিকা উৎপাদন ও পরীক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছে। টিকা নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট খুব শিগগিরই ঢাকা আসছেন। এদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রতি ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন আমদানিতে বাংলাদেশের পাঁচ ডলার খরচ হবে। গতকাল একটি সূত্র দামের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, চীনা কোম্পানি আনুই জিফেই বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন ও পরীক্ষার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে এখানে টিকার ট্রায়াল দিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। টিকা নিয়ে আলোচনার জন্য আনুই জিফেইর প্রেসিডেন্ট পু জিয়াং আজ শনিবার ঢাকা আসছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিলে তারা এখানে টিকা উৎপাদন করবেন। এ টিকার বড় একটি অংশ বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে উপহার দেয়া হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ টিকা উপহার দিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
চীনা প্রতিষ্ঠান আনুই জিফেই এরই মধ্যে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান, চীন ও ইকুয়েডরে টিকার ট্রায়াল দিয়েছে।
এদিকে ভারত থেকে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমদানির জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী সরকারের পক্ষে ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন কিনতে মন্ত্রিসভার ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার এক হাজার ২৭৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন কেনার অনুমোদন দেয়া হয়।
তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম পরিশোধে গত বৃহস্পতিবার যে অর্থ অনুমোদন দেয়া হয়েছে, তাতে হিসাব অনুযায়ী প্রতি ডোজের দাম পড়ে প্রায় ৪২৫ টাকা। তবে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও অর্থমন্ত্রী ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, এগুলো নিয়ে মন্ত্রী মহোদয় ও সিনিয়ররা অনেক কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আমার আর বলার কিছু নেই।
একই বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিবসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কোনো কথা বলেননি।
গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। ভারত সরকার উপহার হিসেবে এসব ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, আগামী ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা আছে। ৬ মাসে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।