পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি দেশের শীর্ষ ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেছেন, সরকার টিকা নিয়ে খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছে। ইমোশনাল হয়ে কোনো কাজ হয় না। ইমোশনাল হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সরকার কী করছে? আমরা যদি ভাবি, সরকার চুরি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এটা ঠিক না। তিনি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে অযথা ভয় বা আবেগ তাড়িত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘করোনা টিকার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, এখন যে ভ্যাকসিন জনগণকে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোকে বলা হয় ‘ফার্স্ট জেনারেশন’ ভ্যাকসিন। বৈজ্ঞানিকদের ভাষায় একে ভ্যাকসিনের ফোর্থ ট্রায়ালও বলা হয়। হাজার হাজার মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আবার বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।
সাধারণত ফার্স্ট জেনারেশন ভ্যাকসিন নেওয়া হয় না। এখন আমাদের হাতে সময় কম থাকায় ফার্স্ট জেনারেশন ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে। তাড়াতাড়ি আমাদের নিতে হবে। এজন্যই ফার্স্ট জেনারেশন ভ্যাকসিনই আমরা নিচ্ছি, সারা পৃথিবীর লোকই নিচ্ছে। রূপান্তরিত করোনাভাইরাসেও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা থাকবে। তবে এই কার্যকারিতা ছয় মাসের বেশি থাকবে না।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল বলেন, এই টিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, ইন্ডিয়াতে এত লোক দিতে রাজি না। এই যে নরওয়েতে ২৩ জন বৃদ্ধ লোক মারা গেছে। এমনটা হলো ফাইজারের ভ্যাকসিনে। তাহলে তো সাংঘাতিক ব্যাপার। আবার ইউকেতে বৃদ্ধ মানুষদের দেওয়া হয়েছে, একজনও মরেনি। তাহলে এসব নিয়ে অ্যানালাইসিস করতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক অন্ধকার রাতে কেউ নেই, তখন তো একটু ভয় লাগবে। কিছু কিন্তু নেই, তারপরও ভয় লাগে। ভয় পাওয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিন না নেওয়ার বিষয়টি হচ্ছে সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার। আমরা মনোযোগী হব বায়োলজিক্যাল ব্যাপারে, ফিজিক্যাল ব্যাপারে। সত্যিকারই আমাদের ক্ষতি হয় কি না, সেটা দেখব। করোনা ভ্যাকসিনের কেবল যাত্রা হলো, এক বছরও হয়নি। অনেক কিছু আমাদের কনসিডার করতে হবে। ইমোশনাল হলে চলবে না।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়টি সোজা-সরলভাবে জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই। ভ্যাকসিন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।