পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অবশ্যই মানিলন্ডারিং প্রতিরোধের ব্যর্থতার বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে। এ মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহিউদ্দীন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
শুনানি শেষে আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট বিভাগ, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন, মার্কেট ডিভিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মরতদের দায়-দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করতে ১২ বছরের (২০০৮-২০২০) তালিকসহ তথ্য চান। একই সঙ্গে দায়িত্বরত এসব কর্মকর্তা অর্থ পাচার প্রতিরোধে কেন ব্যর্থ হয়েছেন- এ মর্মে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট বিভাগ, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন, মার্কেট ডিভিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১৫ ফেব্রæয়ারির মধ্যে এ বিষয়ক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
স্বতঃপ্রণোদিত রুলের শুনানি : এর আগে গত ২২ নভেম্বর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলজারি করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত তৎকালিন হাইকোর্ট বেঞ্চ। রুলে কারা অর্থ পাচার করেছেন তাদের নাম-ঠিকানা জানতে চান। বিশেষ করে যারা বিদেশে অর্থ পাচার করে কানাডা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বাড়ি কিনেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়।
এছাড়া, আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী ২৮ ফেব্রæয়ারির মধ্যে পৃথক প্রতিবেদন জমা দেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়। আরও আগে ভার্চুয়াল শুনানিতে যুক্ত হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, সরকার অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে। তারা যে সব দেশে বাড়ি কিনছে, সেখানকার ক‚টনৈতিক কার্যালয়ের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন দেশে ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলোর মধ্যে ‘এগমন্ট চুক্তি’র কারণে অর্থপাচারকারীদের তথ্য চাইলেই আদালতে উপস্থাপন করা সম্ভব নয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের অ্যাম্বেসিগুলোকে তথ্য জানাতে বলেছেন। তথ্যগুলো পেতে সরকারের সময় লাগবে।
ওই সময় দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি বলেন, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধান, ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও খালেদ মাহমুদসহ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধ দুদক মামলা করেছে। পারস্পরিক সহায়তা আইনের মাধ্যমে দুদক ও সরকার বিদেশ থেকে পাচারকৃত অন্তত ৭০ কোটি টাকা ফেরত এনেছে।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মানি লন্ডারিং অপরাধে ৪৭টি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মানি লন্ডারিং অপরাধে ৮৮টি মামলা বর্তমানে কমিশনে তদন্তাধীন। এসব মামলায় অন্তত ১০০ জন প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পাচারকৃত ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার ফেরত আনার আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সিআইডি প্রতিবেদন বলছেন, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ সাত হ্যাকারদের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কায় অর্থ পাচার করেছেন। শুধু সম্রাট এবং এনামুল হক আরমান- এ দু’জনই ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯১ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার হালদার পাঠিয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।