পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পি কে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) ৮৩ ব্যক্তির সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি অর্থ আত্মসাত করেছেন। যাদের সহযোগিতায় তিনি অর্থ হাতিয়েছেন তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলেও তিনি হাতিয়ে নেন অর্থ। এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর প্রতিবেদনে।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়। দাখিলকৃত প্রতিবেদনে পি কে হালদার ও তার ৮৩ সহযোগী এবং ৪৩টি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দিয়ে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের সবিস্তর তথ্য রয়েছে। এসব ব্যক্তি ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, ২০১৫ সালে ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, বিআর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, নিউ টেক এন্টারপ্রাইজ লি. ও হাল ইন্টারন্যাশনাল লি. নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি. অধিগ্রহণের পরবর্তী ৩/৪ বছরে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে নামসর্বস্ব ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের ঋণের নামে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্যাপিটাল মার্কেটে ২ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির বিতরণকৃত ঋণের মোট পরিমাণ ৩ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। আত্মসাৎকৃত অর্থ বিতরণ করা ঋণের ৬৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। ৪৩টি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের নামে বিতরণকৃত ঋণের অর্থের গতিপথসহ কে কতটা এতে সুবিধাভোগী হয়েছেন- বর্ণনা রয়েছে।
বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার, ক্রেডিট ডিভিশনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা ৮৩ ব্যক্তির ঋণের আড়ালে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির দুই-তৃতীয়াংশের বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এই দুর্নীতি ও জালিয়াতি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ। চারটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স। নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান তৈরি করে নিজ আত্মীয়-স্বজন ও সহযোগীদের মাধ্যমে তিনি এই অর্থ আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে যান।
কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানের অর্থপাচার নিয়েও অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে দুদক ও বিএফআইইউ। এর আগে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পি কে হালদার জালিয়াতির মাধ্যমে দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হতে বসেছে এবং গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসবের মধ্যেই পি কে হালদার গোপনে দেশ ছাড়েন।
এসব তথ্য আমলে নিয়ে একপর্যায়ে পি কে হালদারের বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সঙ্গে সঙ্গে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তার গ্রেফতারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে গত ৮ জানুয়ারি ইন্টারপোলের মাধ্যমে পি কে হালদারকে গ্রেফতারে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই শঙ্খ বেপারি এবং অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পি কে হালদারের মা লীলাবতীসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।