পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ‘উজ্জ্বল নক্ষত্র’ অভিহিত করে তার অনুসৃত পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, একদলীয় বাকশালী অন্ধকার থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের আদলের মধ্যে ঝুলিয়ে দেয়া-এগুলো ছিলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে বড় কীর্তি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের সামনে সবসময় উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো থাকবেন। সেই উজ্জ্বল নক্ষত্রকে লক্ষ্য করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো।
গতকাল মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটা কঠিন সময় আমরা পার করছি। একদিকে করোনাভাইরাসের আক্রমণ। অন্যদিকে একটা ফ্যাসিবাদী এক নায়কোতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সরকারের সমস্ত রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেয়া, জাতিকে ধবংস করে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত- এটাকে প্রতিরোধ করে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে আবার সেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে স্বপ্ন ছিলো, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে, তারেক রহমান আজকে যে স্বপ্ন দেখছেন তা করতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমস্ত দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের যে আদর্শ তাকে সামনে নিয়ে আমাদেকে এগিয়ে যেতে হবে।
বিএনপির উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাড়ে ৫ ঘণ্টা এ আলোচনা সভা হয়। ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
সারাদেশে মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে এই ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেয়।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে দেশ বিনির্মাণে যে যে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে সেই সকল ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান ছিলেন সফল। এ কারণে তারা জিয়াউর রহমান, তার পরিবার এবং তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপিকে ভয় পায়’।
‘সেজন্য আপনারা দেখছেন, আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে সরকারে আছে, তারা আজকে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে আর ইতিহাসকে বিকৃত করছে। কেননা যদি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আজকে প্রজন্ম জানে, দেশের ৫০ বছরে ইতিহাস যদি জানে তাহলে আওয়ামী লীগের মুখ কোথাও থাকবে না।
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বরিশাল মহানগরের মজিবুর রহমান সারোয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, চট্টগ্রাম মহানগরের আবুল হাশেম বক্কর, উত্তরের গোলাম আকবর খন্দকার, সিলেট মহানগরের নাসিম হোসাইন, কুমিল্লা মহানগরের হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসীন, রাজশাহী মহানগরের মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, যশোরের অধ্যাপক নার্গিস বেগম, লালমনিরহাটের আসাদুল হাবিব দুলু বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া দলের অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন ও ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন আলোচনায় বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।