পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারত থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা আগামীকাল বৃহস্পতিবার আসছে। করোনাভাইরাসের টিকার চালান হাতে পাওয়ার পর প্রতিদিন দুই লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। টিকা পাওয়ার পর তা পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেয়া হবে। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে থাকা কর্মীরাই আগে টিকা পাবেন, ‘ভিভিআইপি’দের জন্য এখানে কোনো অগ্রাধিকার নেই। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরে ভারত থেকে আসা টিকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমার আশা করছি আমাদের যে শিডিউল আছে সেই অনুযায়ী আসবে। আগামীকাল (বুধবার) একটা শিডিউল আছে। অথবা পরের দিন বৃহষ্পতিবার আসবে। এটাই সর্বশেষ খবর। ভারত এই টিকা আমাদের কাছে পৌঁছে দেবে। আমি বিমানবন্দরে গিয়ে টিকা গ্রহণ করবো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা প্রয়োগ করে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে দেয়া হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই টিকা নিচ্ছেন-বাংলাদেশে এমন হবে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আপাতত এ ধরনের চিন্তা নেই। আমরা চিন্তাভাবনা করছি যাদের সবচেয়ে আগে প্রয়োজন, ফ্রন্টলাইনার, তাদের আগে দেবো। ডাক্তার, নার্স, পুলিশ প্রথমে পাবেন। সাংবাদিকদেরও দেয়া হবে। যেটা প্ল্যান করা আছে সেভাবেই হবে। ভিভিআইপিরা আগে পাবেন না।
ভারতের উপহারের টিকা আগে চলে এলে সময়সূচিতে পরিবর্তন আসবে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, টিকা আগে চলে এলে প্রয়োগও আগে হবে। যেটা আমাদের ভারত সরকার দিচ্ছে সেটা যদি আগে পেয়ে যাই, তাহলে আমাদের কার্যক্রম কিছুটা আগেই শুরু করব। সারা দেশে পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগবে। সব জায়গায় পৌঁছালে আমরা সারা দেশে এক যোগে কাজ শুরু করব। শুরু হবে ঢাকা থেকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, জেলা পর্যায়ে চারটি, উপজেলায় দুটি এবং মেডিকেল কলেজে ছয়টি দল টিকা দেয়ার কাজ করবে। কয়েকটি দল কাজ করবে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। প্রায় ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবী এই কাজে যুক্ত থাকবেন। প্রাথমিকভাবে আমরা ইউনিয়নগুলো বাদ দেব। শুধু জেলা, উপজেলা এবং সিটি করপোরেশন এলাকা হিসাব করে প্রতিদিন আনুমানিক ২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভারত থেকে টিকা আসার পর তা স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিএমএসডি, ইপিআই এবং তেজগাঁও হেলথ কমপ্লেক্সের কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হবে। সরকারের কেনা ৩ কোটি ডোজ টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর সব জেলায় একসঙ্গে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছু টিকা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এক সপ্তাহ পর সব জেলায় শুরু করা হবে। এটাই আমাদের পরিকল্পনা। টিকা প্রয়োগের বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে মঙ্গলবার (গতকাল) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই সব চূড়ান্ত হবে। ভারতের উপহার ২০ লাখ ডোজ টিকা কখন কাকে দেয়া হবে জানতে চাইলে খুরশীদ আলম বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের যেভাবে জানাবে, সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সব কিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠ পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেজন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে নিবন্ধন শুরু করার কথা রয়েছে। এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ টিকার জন্য তৈরি করা অ্যাপস ২৫ জানুয়ারির মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করবে।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে যে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনা হবে সেটি দেশে আসছে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে। আর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে। সেজন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে অনলাইনে নিবন্ধন। গত সোমবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটেরর উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান দেশে আসবে ২৫ থেকে ২৬ জানুয়ারি। তার আগেই আগামীকাল বৃহষ্পতিবার দেশে পৌঁছাবে ২০ লাখ ডোজ টিকা, যা ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে পাঠাচ্ছে। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার এই ২০ লাখ ডোজ সরকারের কেনা তিন কোটি ডোজের অতিরিক্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।