Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

স্বামী হারানোর ৩৫ বছরেও মেলেনি বিধবা ভাতা

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

স্বামী মৃত্যুর ৩৫ বছরেও জুমারন নেছার ভাগ্যে জুটেনি বিধবা ভাতার কার্ড। জুমারন বেওয়া (৫৩) পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের লাঠুয়া পাড়া এলাকার মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী। ৩৫ বছর আগে নুর ইসলামের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই সহায় সম্বলহীন জুমারন বেওয়া অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। অতিকষ্টে এক ছেলে ও এক মেয়েকে বড় করে বিয়ে দেন। সহায় সম্বলহীন ছেলের সংসারে দুই মেয়ে এক ছেলে। ছেলের টানা পোড়েনের সংসারে একদিন বসে থাকলে পেটে অন্য জুটবেনা। এখনো ৫৩ বছর বয়সে জীবন বাজি রেখে পাথরের সাইডে কাজ করে চলছে জুমারন বেওয়া। করোনাকালীন সময়ে শুধু ১০ কেজি চাল ছাড়া, আর কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা থাকলেও মা ছেলের সংসারে জুটেনি। জুমারন বেওয়ার বাপের পাওয়া ৪ শতাংশ জমিতে ছোট্ট একটি ঘরে বসবাস করছেন মা ও ছেলে। কোনো কোনো সময় জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও দিয়েছেন। কিন্তু জুমারন বেওয়ার ভাগ্যে জুটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড। জুমারন বেওয়া জানান, একটি বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ইউপি সদস্য ও চৌকিদারের কাছে বহুবার গিয়েছি। ইউপি সদস্য কহেচে আজগর মেম্বার (সাবেক) ২৫ বছর থাকলেও ওহে তোক কিছু দেয়নি। মুই ইন্ডিয়ার লোক মুই আরও তোক কি দিম।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, আমার হয়ে আপনি আমার কাছে জাতীয় পরিচয় আর মুঠোফোন নম্বর দিয়ে যাইতে বলবেন। এ বারেই বিধবা ভাতার কার্ড দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ