পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গত এক দিনে আরো ৫৬৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; যা গত সাড়ে আট মাসর মধ্যে সবচেয়ে কম। সবশেষ গতবছরের ২ মে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ৫৫২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছিল। আর গত শনিবার ৫৭৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর জানানো হয়েছিল। গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে শনাক্ত ৫৬৯ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৩২ জন হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে। এতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ৭ হাজার ৯০৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে এই সময়ে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৬৮১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৯৯ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ২১২টি। তবে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ২১৫টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৭টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৯৭৬ জন (৭৫ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৯০৭ জন (২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ)। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৬৩৮ জন। আর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৩১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীনের উহানে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫ লাখ ৪২ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৮৪ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ২৯৬ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।