Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্যালো দিয়ে জমিতে পানি দেয়ার চেষ্টা দুপচাঁচিয়ায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে

দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এই ভরা বর্ষা মৌসুমেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা এলাকায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে আতঙ্কে ভুগছে। বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের শস্য ভা-ার হিসেবে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সর্বজন পরিচিত ও সমাদৃত। জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ধান উৎপাদনের দিক থেকে প্রতি বছর দুপচাঁচিয়া উপজেলা তুলনামূলক ভাবে শীর্ষে অবস্থানে থাকে। এ ব্যাপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ‘দৈনিক ইনকিলাব’-কে জানান, এ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে মোট ১২ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে উফসী ১১ হাজার ৯শ ৫০ হেক্টর এবং স্থানীয় ৪শ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ হাজার ১শ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের জন্য নির্ধারণ করা হয়। এসব জমিতে কৃষকরা আমন চাষাবাদের জন্য আষাঢ় মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাসে জমি চাষাবাদও শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু আষাঢ় শেষ হয়ে শ্রাবণের এক মাস প্রায় অতিবাহিত হয়ে বর্ষার শেষ প্রান্তে এই উপজেলায় কাক্সিক্ষত পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা নেই। এই ভরা বর্ষা মৌসুমে উপজেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকই তাদের জমিতে রোপণকৃত আমনের আবাদ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকার অনেক জমিতে পানি শুকিয়ে ফাটল ধরেছে। আমন চাষিরা নিজ উদ্যোগে তাদের জমিতে আমন ধান রক্ষার জন্য শ্যালো মেশিন চালিয়ে পানি সেচ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের অনেক জমিতেই পানি নেই। এ ব্যাপারে উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের জুয়েল হোসেন, সদরের ম-লপাড়ার সিরাজ উদ্দিন, পাইকপাড়ার ফেরদৌস বিশ্বাস, খোলাস গ্রামের আবু হোসেন, হেলালুর রহমান হেলাল, সরদারপাড়ার মোবারক আলীসহ অনেক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অনেক আশা নিয়ে আগাম আমন চাষাবাদের জন্য চারা রোপণ করেছিলেন। কিন্তু এরা বর্ষা মৌসুমে চারা বয়স পেরিয়ে মাঠ সবুজ আকার ধারণ করেছে। ঠিক সেই মুহূর্তেই বৃষ্টি নেই। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের রোপণকৃত আমনের কাক্সিক্ষত ফলন পাবেন কিনা তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে। এতে করে কৃষকরা এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে কৃষকরা গভীর-অগভীর সেচের মাধ্যমে আমন ধানের জমিতে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা নিবে। সেক্ষেত্রে উপজেলায় আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ