পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচারের দায়ে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের ৮৩ সহযোগীর নাম-পরিচয় প্রকাশ তথা উপস্থাপন করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে প্রতিষ্ঠানটি এ তালিকা উপস্থাপন করবে বলে জানানো হয়েছে।
কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব ভট্টাচার্য জানান, ইতোমধ্যেই বৃহৎ এই অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের নাম-তালিকা দুদকের আইনজীবীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আদালদের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে তিনি এফিডেভিট করে আদালতে উপস্থাপন করবেন। ৮৩ জনের তালিকায় কে-কে রয়েছেন-জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা। তবে সংস্থার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পি কে হালদারের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালিন কর্মকর্তা, পি কে হালদারের মা-বান্ধবী, ভাই এবং স্বজনরা রয়েছেন।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট ২৫ ব্যক্তির দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর মধ্যে রয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্ণর এস কে সুর চৌধুরী, হারুনুর রশিদ (ফার্স্ট ফাইন্যান্স), পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী, সামি হুদা, পি কে হালদারের চাচাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অবন্তিকা বড়াল, শামীমা (আইএলএফএসএল), রুনাই (আইএলএফএসএল), সাবেক সচিব ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান এন আই খান, সুকুমার মৃধা (ইনকাম ট্যাক্স আইনজীবী), অনিন্দিতা মৃধা, তপন দে, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অভিজিৎ চৌধুরী, রাজিব সোম, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, অঙ্গন মোহন রায়, নঙ্গ চৌ মং, নিজামুল আহসান, মানিক লাল সমাদ্দার, সোহেল সামস, মাহবুব মুসা, এ কিও সিদ্দিকী, মোয়াজ্জেম হোসেন ও পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার।
তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ঋণের আড়ালে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লীজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের মোট অর্থের দুই তৃতীয়াংশের বেশি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)র তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল লীজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ, চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ও ক্রেডিট ডিভিশনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ২ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা সরিয়ে নেন। আত্মসাৎ করা অর্থ নামে বেনামে ভারত, কানাডা ও সিঙ্গাপুরে পাচার করা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ইতোমধ্যে পি কে হালদারের সহযোগীদের তথ্য-উপাত্ত তারা হাতে পেয়েছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি এসব আদালতে উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ডিভিশন বেঞ্চ সপ্রণোদিত রুলে পি কে হালদারের অর্থ পাচারের সহযোগীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।