পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উপমহাদেশের মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতির মহানায়ক, মুসলিম লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ও ভূমিদাতা নবাব খাজা স্যার সলিমুল্লাহর ১০৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার। নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ মাত্র ৪৪ বছর জীবনে ১৪ বছর তিনি ঢাকার নবাব ছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন ভারত উপমহাদেশের উন্নয়নের মানচিত্রে পূর্ববাংলা পিছিয়ে আছে। তিনি তৎকালীন কোলকাতাকেন্দ্রিক জমিদার, মহাজন ও বুদ্ধিজীবীদের তীব্র প্রতিবাদ উপেক্ষা করে ব্রিটিশদের সহায়তায় আসাম ও পূববাংলা সমন্বয়ে “ পূর্ববাংলা ও আসাম” নামে একটি নতুন প্রদেশ গড়েন। ভৌগোলিক মানচিত্রের এই পরিবর্তনে ভারতবর্ষে উচ্চ বর্ণের হিন্দু জমিদারদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হলে রাজনৈতিক মেধাসম্পন্ন এই নেতা বঙ্গবিভাগের সমর্থনে এদেশের নিপীড়িত, লাঞ্চিত মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সংঘবদ্ধ করেন। তারই প্রচেষ্টায় ১৯০৬ সনে ৩০ এ ডিসেম্বর ঢাকার শাহবাগে নবাবদের বাগানবাড়িতে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
নবাব সলিমুল্লাহ নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ ভূমি দান করেন। ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি ইন্তেকাল করেন। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর জমিদার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর প্রচেষ্টা ও আর্থিক সাহায্যে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। যে স্বপ্নে বিভোর হয়ে তিনি পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রশাসনিক দপ্তর স্থাপনের জন্য তার দিলকুশা গার্ডেনের দক্ষিণাংশে ২৩.৫ হেক্টর জমির ওপর “ গভর্নমেন্ট হাউজ স্থাপনের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা কালক্রমে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তান গভর্নরের প্রশাসনিক ভবন ও পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ভবন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আজ বঙ্গভবন” এ পরিচিতি লাভ করেছে।
চরম পরিতাপের বিষয়, নবাব প্রতিষ্ঠিত মুসলিম লীগ সহ বিগত ৭৩ বছরে বহু সরকার এসেছে কিন্তু নবাব সলিমুল্লাহকে যথাযথ মূল্যায়ন কেউ করেনি। নবাব স্যার সলিমুল্লাহ বাহাদুরের ১০৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ঢাকার বেগমবাজারস্থ নবাব পরিবারের কবরস্থানে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ বাহাদুরের মাজারে আজ সকাল ১০টায় ফাতেহা পাঠ এবং কবরস্থানে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা থাকবেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।