পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে আলিয়া মাদরাসগুলোতে লাইব্রেরিয়ান পদে সাধারণ শিক্ষিত বা ব্যবহারিক ভাষা জ্ঞানসম্পন্ন কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ইসলামী শরীয়া, কুরআনিক সায়েন্স, ফেকাহ ইত্যাদি বিষয়ভিত্তিক পারদর্শী লোক ছাড়া মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ হতে পারে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মাদরাসার ছাত্ররা পরিপূর্ণ ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি বাড়তি ২০০ নম্বরের সাধারণ শিক্ষার সবকিছু পড়ালেখা করে। তারা বিসিএস এ নিজ যোগ্যতায় এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি পায়। তবে সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তি আলেম ও ইসলামী স্কলার না হয়ে মাদরাসার বিশেষ পদগুলোতে কোন দিনই সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারে না। এ জন্য মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান পদেও কেবল সাধারণ শিক্ষিত কিংবা ব্যবহারিক ভাষা জ্ঞানসম্পন্ন কর্মী নিয়োগ কিছুতেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। যে সিদ্ধান্ত এখন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। নেতৃদ্বয় এধরণের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, এদেশের মাদরাসাসমূহ আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ, বুজুর্গানে দীন, ইসলামী গবেষক ও চিন্তাবিদদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তাদের উদ্দেশ্য একটিই- প্রকৃত নায়েবে রাসূল, শরীয়া বিশারদ, ইসলামবিষয়ক বিজ্ঞানী ও ইসলামের সেবক তৈরি করা। এর ব্যতিক্রম হলে মাদরাসার শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। যা কারো কাম্য হতে পারে না। ভারতে যেমন অনেক জায়গায় সরাসরি মাদরাসা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, বাংলাদেশে সরাসরি বন্ধ না করে ভেতর থেকে মাদরাসাকে অন্তঃসারশূন্য করে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে বলেও তারা বিবৃতিতে অভিমত ব্যক্ত করেন।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর : এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে সামাজিক অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের মারাত্মক অবনতির ফলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে যুব সমাজ। এতে দিন দিন বেড়েই চলেছে অবাধ মেলামেশা। উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা নিজেদের মত করে যৌনতায় জড়িয়ে পড়ছে। মানবিকতা, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষার অভাবে এমন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে মনে করেন তারা। নেতৃদ্বয় বলেন, আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যবোধ চর্চার কোনো ব্যবস্থা নেই। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কোথাও মূল্যবোধ চর্চার কোনো ব্যবস্থা নেই। ধর্মের পাশাপাশি মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে মূল্যবোধ শিক্ষা দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।