পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন হাজার ৬শ’ কোটি টাকা আত্মসাত করে বিদেশ পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার)-এর বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ (বৃহস্পতিবার) সংস্থার উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। গতকাল বুধবার ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের আওতায় তাকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা।
পি কে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ ব্যবসা ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে অবন্তিকা বড়ালের বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান করছে দুদক। এ প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর দুদকে হাজির হওয়ার জন্য তাকে নোটিশ দেয়া হয়। তাতে তিনি সাড়া না দেয়ায় পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অবন্তিকা ‘সুখাদা লিমিটেড’ নামক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম মালিক। এ প্রতিষ্ঠানে পি কে হালদারের বেনামী বিনিয়োগ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রশান্তের ভাই প্রীতিষ কুমার হালদার এবং স্ত্রী সুস্মিতা সাহারও বিনিয়োগ রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। তার ‘সহযোগী’ হিসেবে গ্রেফতার করা হয় অবন্তিকাকে। গ্রেফতারের পর তাকে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ দুদক কার্যালয়ে আনা হয়। রাখা হয় নিজস্ব হাজতখানায়।
আদালতে নেয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অবন্তিকা বড়াল বলেন, আমাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে- কিছুই বলতে পারব না। ‘আপনার নামে কোনো অবৈধ সম্পদ রয়েছে কি না- জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সেটি দুদকই বলতে পারবে।
এর আগে একই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ৪ জানুয়ারি পি কে হালদারের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ হিসেবে শঙ্খ বেপারীকে গ্রেফতার করে দুদক। তার নামে ধানমন্ডিতে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে- যা পি কে হালদারের বেনামী সম্পদ বলে মনে করছে সংস্থা।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এগুলো হচ্ছে- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে পাচার করেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে গত বছর ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিদেশ পালানোর পর দুদক তার ২৭৫ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ রয়েছে অভিযোগ এনে মামলা করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, পি কে হালদার তার নিজের, আত্মীয়দের, বন্ধু ও কর্মচারীদের নাম ব্যবহার করে ৮টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৯ টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
এ টাকার বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান মেলেনি। এর মধ্যে সুখাদা লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অবন্তিকা বড়াল, প্রীতিষ কুমার হালদার এবং সুস্মিতা সাহার নামে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে, যা আসলে পি কে হালদারের টাকা বলে দুদকের সন্দেহ। পি কে হালদারকে গ্রেফতারে ইতোমধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তার মা লীলাবতী হালদার এবং অবন্তিকা বড়ালসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, পি কে হালদারের ৭০-৮০ জন বান্ধবী রয়েছে। তারাও পি কে হালদারের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে নানাভাবে সংশ্লিষ্ট। এদের একজন হচ্ছেন অবন্তিকা বড়াল। তার নামে রাজধানীর ধানমন্ডির ১০/এ, সাত মসজিদ রোডে ৩৯ নম্বর বাড়ির ১২/ই ফ্ল্যাট এবং একই এলাকার ৬ নং রোডের পুরাতন ২১ নং ও নতুন ১৭ নং প্লটে নির্মিত ১৪তলা বাড়ির সপ্তম তলায় ২ হাজার ৬০৩ বর্গফুটের এ-৭ নং ফ্ল্যাট রয়েছে। এ দু’টি ফ্ল্যাট জব্দের জন্য আদালতে ইতোমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।